

যোগীরাজ্যে এক বিজেপি বিধায়ক এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, লাঞ্ছনা এবং হয়রানির অভিযোগ দায়ের করলেন এক মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বয়ানের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক ছোটে লাল ভার্মার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
মহিলার অভিযোগ, তিনি ছোটে লালের মেয়ের বন্ধু হন। ১৭ বছর বয়স থেকেই তিনি বিধায়কের আগ্রার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাঁর অভিযোগ, ২০০৩ সালে বিধায়কের ছেলে লক্ষ্মী কান্ত ভার্মা তাঁকে নিজের বাসভবনে দেখা করার জন্য ডাকেন। তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ভার্মা তাঁকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণ করেন।
অভিযোগকারী তাঁর বয়ানে আরও জানান, এই ঘটনাটির ভিডিও রেকর্ডিং করেছিলেন লক্ষ্মী কান্ত। সেটা দেখিয়ে ক্রমাগত তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হতো এবং লাঞ্ছনা করা হতো।
নির্যাতিতার অভিযোগ, এই ঘটনার কয়েক বছর পর ছোটে লালের ছেলে এক মন্দিরে তাঁকে বিয়ে করেন। পরবর্তীকালে তাঁকে বেশ কয়েকবার গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন। কিন্তু ২০০৬ সালে নির্যাতিতা যখন জলন্ধরে যান, তখন সেই সুযোগে বিজেপি বিধায়ক পুনরায় তাঁর ছেলের বিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতাকে দিয়ে জোর করে ডিভোর্স পেপারে সই করান লক্ষ্মী কান্ত। কিন্তু এরপরেও ক্রমাগত হয়রানির শিকার হন নির্যাতিতা।
অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ জানিয়েছে, ভার্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩১৩ (মহিলার সম্মতি ছাড়া গর্ভপাত ঘটানো), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত দেওয়া), ৫০৪ (শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান), ৫০৬ (ভয় দেখানোর মত অপরাধ), ৪৯৪ (স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় আবার বিয়ে করা) এবং ৩২৮ (বিষের মাধ্যমে আঘাত করা) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
-With IANS Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন