

দেশের মূলধারার মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা আজ হুমকির মুখে। এর অন্যতম কারণ টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রাইমটাইম (Prime Time) অনুষ্ঠান। যেখানে, নিউজ চ্যানেলগুলি এমন সব ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ শানায় - যারা মেরুকরণ করেন, মিথ্যা বর্ণনা দেন। বুধবার, রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্টিটিউ ফর ব্রডকাস্টিং-র এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
এদিন, বক্তব্যের মাঝে মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘মেরুকরণ করেন এমন ব্যক্তিকে যখন আপনি অনুষ্ঠানে ডাকেন তখন তিনি চিত্কার করেন। অর্থাৎ, আপনি ভুল বার্তা দর্শকদের দিচ্ছেন। পাশাপাশি আপনার চ্যানেলের গ্রহণযোগ্যাতাও নেমে যায়।’
দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে উদ্দেশ্য করে ঠাকুর বলেন, ‘আপনি কোন ধরনের বক্তা নির্বাচন করবেন, আপনার টোন কেমন হবে, আপনি কী ধরনের ভিজুয়াল দেখাচ্ছেন - তার উপরে আপনার চ্যানেলের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে।’
এদিন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি করেন, চিত্কার করে বিতর্ক করলে হয়তো বেশি দর্শককে টানা যায়, কিন্তু তাতে চ্যানেলের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকে।
টেলিভিশনে সংবাদ পরিবেশন প্রসঙ্গে ঠাকুর বলেন, মহামারী করোনা যেমন অনেকগুলি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে; তেমনই মিডিয়াকে সংবাদ ও তথ্যের বিশ্বস্ত উত্স হিসাবে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার সুযোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা হল- সত্যের মুখোমুখি হওয়া, সত্যকে উপস্থাপন করা, সব পক্ষকে তাদের মতামত তুলে ধরার সুযোগ দেওয়া।’
মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘আমার মতে, মূলধারার মিডিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি নতুন যুগের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (Digital Platform) নয় বরং মূলধারার টেলিভিশন চ্যানেল নিজেই। আপনি যদি বিতর্কসভায় এমন ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন- যারা মেরুকরণ করেন, যারা মিথ্যা বর্ণনা দেন, যারা চিল চিৎকার করেন; তাহলে আপনার চ্যানেলগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস পাবে।’
এরপরেই, টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে উদ্দেশ্য করে ঠাকুর বলেন, 'নবীন প্রজন্মের কাছে আপনি চিত্কার চেঁচামেচি দেখাবেন নাকি, সত্যি খবরটা দেবেন সেটা ঠিক করে নিন। কী চিত্র আপনি দেখাবেন?- যে দৃশ্য মানুষের চোখ কপালে তুলবে, খেপিয়ে তুলবে নাকি মানুষকে সংযত হতে শেখাবে?'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন