
সোমবার ইন্ডিয়া মঞ্চের বৈঠকের পর ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও গরহাজির থাকলো তৃণমূল কংগ্রেস। সাথে দেখা মেলেনি সমাজবাদী পার্টির কোনও প্রতিনিধির। তাহলে কি ইন্ডিয়া মঞ্চে ফাটল কি ক্রমশ বাড়ছে? সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে পরাস্ত করার জন্য গড়ে ওঠে ইন্ডিয়া মঞ্চ। আসন সংখ্যার নিরিখে বিরোধী জোটে কংগ্রেস প্রথম, সমাজবাদী পার্টি দ্বিতীয় এবং তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় বৃহত্তম দল। মঙ্গলবার আদানি ইস্যুতে সংসদ কক্ষের বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া মঞ্চের অন্যান্য দলগুলি। কিন্তু সমাজবাদী পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস, দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিকই এই বিক্ষোভে অনুপস্থিত ছিল।
এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস যেখানেই যায়, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে। কখনও তৃণমূল থাকছে না তো কখনও সমাজবাদী পার্টি থাকছে না।
এর আগে, গতকালও অধিবেশন শুরুর আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডিয়া মঞ্চের নেতারা। সেই বৈঠকে ছিল না তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি।
ইন্ডিয়া মঞ্চ গঠন হওয়ার প্রথম থেকেই কংগ্রেসের নেতৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক সভায় তৃণমূল নেতারা বলেছিলেন, সবকিছু কংগ্রেস ঠিক করবে এটা হতে পারে না। এমনকি অখিলেশ যাদবের সাথে আলাদা বৈঠকও করতে দেখা গেছে অভিষেক ব্যানার্জিকে।
অধিবেশন শুরুর সময়ও অভিষেক ব্যানার্জি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তাঁদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংসদে বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরা। শুধুমাত্র আদানি ইস্যুতে আলোচনা চান না তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন