
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা, বিজেপি এবং এনসিপির মহাযুতি জোট জয়ী হয়েছে। কিন্তু ১০ দিন কেটে গেলেও পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে জট এখনও কাটেনি। একদিকে একনাথ শিন্ধে যখন মহাযুতির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বয়কট করেছেন অন্যদিকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বর সাথে বৈঠকের জন্য দিল্লি গেছেন এনসিপি-র অজিত পাওয়ার।
মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এই প্রশ্ন এখন সব মহলেই ঘোরাফেরা করছে। শিবসেনা সমর্থকদের দাবি একনাথ শিন্ধেকেই ফের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। অন্যদিকে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশও মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে একনাথ শিন্ধে মহাযুতি জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। গলায় ইনফেকশন এবং শরীরে জ্বর থাকার কারণে তিনি বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।
যদিও শিবসেনা সূত্রে খবর, এটি পূর্ব নির্ধারিত কোনও বৈঠক ছিল না। বরং জোটের মধ্যে বড়ো শরিক হিসেবে বিজেপির বৈঠক ডাকার কথা। সেই বৈঠকের জন্য বাকিরা অপেক্ষা করছে। এই বৈঠকেই নাকি মন্ত্রিসভার পদ চূড়ান্ত হতে পারে।
একদিকে যখন শিন্ধের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার খবর সামনে আসছে অন্যদিকে অজিত পাওয়ার দিল্লি উড়ে গেছেন বলে খবর। এনসিপি সূত্রে খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাথে মহারাষ্ট্র নিয়ে বৈঠকের জন্য দিল্লি গেছেন তিনি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
মহাযুতি জোটে থাকা বিজেপি এবারও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। বিজেপির দখলে আছে ১৩২ আসন। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। সেক্ষেত্রে শিবসেনাকে বাদ দিয়ে কেবল অজিত পাওয়ারের এনসিপির সাথে জোট করে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার পথ খোলা থাকছে বিজেপির কাছে। এনসিপি ও বিজেপির জোট হলে দুই দলের মিলিত আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৩।
আবার মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নিজেকেই যোগ্যতম দাবিদার মনে করছেন একনাথ শিন্ধে। রবিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শিন্ধে বলেন, 'মহারাষ্ট্রের মানুষ আমাকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। কারণ আমি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি তাঁদেরই একজন হয়ে গেছি'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন