
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর বিরুদ্ধে ফের কড়া পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। একটি জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত মন্তব্য করে যে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি এখন প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ তোলার "একটি নমুনা" হয়ে উঠেছে।
বিচারপতি এএস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চে ছত্তিশগড়ে আবগারি দুর্নীতি ও অর্থ পাচার মামলার এক অভিযুক্তের জামিন আবেদনের শুনানি চলছিল। মামলাটির সাথে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কংগ্রেসের ভূপেশ বাঘেলের সরকারের সময়কালে রাজ্যে মদ বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির যোগ রয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি জামিনের আবেদন করেছিলেন। তারই শুনানিতে ইডিকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত।
শুনানির সময় বিচারপতি ওকা বলেন, “আমরা একাধিক ইডি মামলা দেখেছি। এটি একটি নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে—ইডি অভিযোগ তোলে, কিন্তু কোনও প্রমাণ দেয় না।” তিনি আরও বলেন, “ইডি বলছে অভিযুক্তরা ৪০ কোটি টাকা অর্জন করেছে, অথচ সেটা কোথা থেকে এসেছে তা বোঝাতে পারছে না। অভিযুক্তের সঙ্গে কোনো কোম্পানির সম্পর্কও দেখাতে পারেনি।”
ইডি দাবি করেছে, ছত্তিশগড় সরকারের অধীনে ২০০০ কোটি টাকারও বেশি অনিয়ম হয়েছে এবং এটি সিন্ডিকেট দ্বারা চালিত—যার সঙ্গে রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও বেসরকারি সংস্থাগুলি যুক্ত। সংস্থাটি আরও অভিযোগ করেছে যে নির্দিষ্ট বাজার অংশীদারিত্বের বিনিময়ে ডিস্টিলারদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে এবং বেআইনিভাবে দেশি মদ বিক্রি হয়েছে।
এই মামলাটি আয়কর দফতরের একটি মামলার সাথেও সম্পর্কিত বলে জানানো হয়েছে। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এই অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, এটি বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
গত সপ্তাহে, সুপ্রিম কোর্ট ছত্তিশগড় সরকারকেও তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল। আদালত প্রশ্ন তুলেছিল, “একজন অভিযুক্তকে কতদিন কারাগারে রাখা হবে? তিনটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, আর তদন্ত চলছে অনির্দিষ্টকাল। একপ্রকার শাস্তিই দেওয়া হচ্ছে অভিযুক্তদের। অথচ এটি কোনও সন্ত্রাসবাদ বা ট্রিপল মার্ডারের মামলা নয়।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন