
গত ১০ বছরে প্রায় ২০০টি মামলা দায়ের করেছে ইডি। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মাত্র ২ জন। রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী।
সিপিআই(এম)-এর রাজ্যসভার সাংসদ এ এ রহিমের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। রহিম গত দশ বছরে সাংসদ, বিধায়ক এবং স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ইডি কর্তৃক দায়ের করা মামলার দলভিত্তিক, রাজ্যভিত্তিক এবং বছরভিত্তিক বিশদ বিবরণ চেয়েছিলেন।
জবাবে মন্ত্রী জানান যে, এই ধরনের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়নি। তবে, ইডি কর্তৃক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার একটি বছরভিত্তিক তালিকা সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৫ - এই দশ বছরে বর্তমান বা প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক বা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে মোট ১৯৩টি মামলা দায়ের করেছে ইডি। এর মধ্যে ২০১৯-২০২০ এবং ২০২১-২২ বছরে ২৬টি করে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২০-২১ এবং ২০২৩-২৪ সালে ২৭টি করে মামলা দায়ের হয়েছিল। তাছাড়া ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে ৩২টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যা এক বছরে সর্বাধিক।
ইডি ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (PMLA), ১৯৯৯ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইন (FEMA) এবং ২০১৮ সালের পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধ আইন (FEOA)-র অধীনে বিভিন্ন মামলার তদন্ত করে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ইডি-র সাফল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। গত বছরের নভেম্বরে পার্থ চ্যাটার্জির জামিন আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, ‘আপনাদের আনা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয় কতজন? যদি এটা ৬০-৭০ শতাংশ হয়, তা হলে অন্তত বোঝা যায়। কিন্তু এই হার খুবই কম।‘
এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে গত দশ বছরে ইডি কর্তৃক দায়ের করা প্রায় ৫,০০০ মামলার মধ্যে মাত্র ৪০টিতে সাজা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘পিএমএলএ মামলায় অভিযোগ এবং গ্রেফতারি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসে বারবার।‘ গ্রেফতারির বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতির প্রয়োজনের কথাও বলেছিল শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন