* মহারাষ্ট্রে মহাযুতি সরকারের অনেক মন্ত্রীর ফোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর দাবি এনসিপি(এসপি) বিধায়কের।
* তাঁর আরও দাবি নজরদারির ভয়ে অনেক মন্ত্রী ফোন বন্ধ করে রাখছেন।
* যদিও এনসিপি (এসপি) বিধায়কের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে তথ্যপ্রমাণ চেয়েছে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার।
মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন মহাযুতি জোটের বিধায়কদের ওপর নজরদারি করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন এনসিপি (এসপি) বিধায়ক রোহিত পাওয়ার। এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) রোহিত দাবি করেছেন, মহাযুতি-র কোনও কোনও মন্ত্রী তাঁদের ফোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে এই ভয়ে ফোন বন্ধ করে রাখছেন। বিধায়কের এই দাবি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
শুক্রবার ওই এক্স বার্তায় রোহিত পাওয়ার জানান, কোনও কোনও মন্ত্রীকে ফোন পাওয়া যাচ্ছেনা। রাজনৈতিক মহলে ফিসফাস শোনা যাচ্ছে যে তাঁদের ফোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে এই ভয়ে তাঁরা ফোন বন্ধ করে রাখছেন। আগামী দিনেই জানা যাবে যে এটা সত্য ঘটনা নাকি নিছকই গুজব।
যদিও রোহিত পাওয়ারের এই দাবি করার পরেই আক্রমণের পথে হেঁটেছেন এনসিপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সকলেরই অভিযোগ জানানোর অধিকার আছে। কিন্তু অভিযোগ করার সময় অবশ্যই সেই যথাযথ প্রমাণ সহ তা করা উচিত।
মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফোনে নজরদারির অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। এর আগে শিবসেনা (ইউবিটি)-র পক্ষ থেকে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী দাবি করে যে, খুব শীঘ্রই মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীসভায় রদবদল হবে এবং সেই রদবদলে একনাথ শিন্ধের শিবসেনা গোষ্ঠীর বেশ কিছু মন্ত্রীকে ছাঁটাই করা হবে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার শিবসেনা (ইউবিটি)-র মুখপত্র ‘সামনা’য় প্রকাশিত সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, “লুকোনো ক্যামেরা এবং পেগাসাসের মত ইজরায়েল থেকে আনা নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করে মধুচক্রের ফাঁদ তৈরি করা হয়েছিল। এভাবেই শিবসেনা এবং এনসিপি দল ভাঙা হয়েছে এবং মহা বিকাশ আঘাদি সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে।” প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, কমপক্ষে ১৮ জন বিধায়ক এবং ৪ জন সাংসদকে নিশানা করা হয়েছিল।
সামনা-র ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে একনাথ শিন্ধের সঙ্গে মাত্র ৯ থেকে ১০ জন বিধায়ক ছিলেন। যদিও এরপর স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কিছু প্রতিনিধি এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশ স্বয়ং বেশ কিছু বিধায়ককে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। এর আগে কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার-ও মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আঘাদি সরকারের পতনের কারণ হিসেবে ব্ল্যাকমেলের কথা জানিয়েছিলেন।
মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী পাওয়ার পরিবারের সদস্য রোহিত পাওয়ার। যিনি গত দু’বারের বিধায়ক। রাজ্যের কারজাট-জামখেড় কেন্দ্র থেকে তিনি বিজেপি প্রার্থীকে পরাস্ত করে এনসিপি (এসপি) প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। যদিও ২০১৯ সালে যেখানে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ৪৩,৩৪৭ সেখানে ২০২৪ সালে সেই ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ১,২৪৩। উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৫ বছর পর তিনি বিজেপির কাছ থেকে এই কেন্দ্র ছিনিয়ে নেন।
Keywords: Maharashtra ministers, phone surveillance, NCP SP MLA, political spying, Maharashtra politics news, government phone tapping, NCP allegations
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন