

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের জল্পনা বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সম্প্রতি তিনি উদ্ধব ঠাকরেকে মহাযুতি জোটে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই সমস্তকিছুকে ‘আন্দার কা বাত’ বলে দাবি করলেন উদ্ধব ঠাকরে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ফডনবিশ বলেন, “উদ্ধবজি, ২০২৯ সাল পর্যন্ত সরকার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। আমাদের বিরোধী দলে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আপনি চাইলে আমাদের দলে আসার সুযোগ আছে। আমরা সেটা বিবেচনাও করতে পারি।" যদিও পরে তিনি পরিষ্কার করে জানান, এটি নিছক একটি রসিকতা ছিল এবং গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার কিছু নেই।
তবে এই মন্তব্যের পরদিনই উদ্ধব ঠাকরের প্রতিক্রিয়ায় বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি মিডিয়ার সাথেই কথা বলছিলাম। আমি 'চাড্ডি বানিয়ান গ্যাং' নিয়ে কথা বলছিলাম। ওদের একটা বিজ্ঞাপনও আছে - 'ইয়ে আন্দার কা বাত হ্যায়'।"
মহাযুতির সাথে যোগদানের জল্পনা আরও বাড়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সাথে উদ্ধব ঠাকরের একটি বৈঠক হওয়ার পর। যদিও উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে জানান, মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ ও উদ্ধব ঠাকরের বৈঠক হয় মারাঠি ভাষা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য। বৈঠকটি হয় বিধান পরিষদের চেয়ারম্যানের চেম্বারে এবং প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনের পর শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস একত্রিত হয়ে মহা বিকাশ আঘাদি জোট তৈরি করে সরকার গঠন করে। যদিও ২০২২-এর জুন মাসে শিবসেনা ভেঙে একনাথ শিন্ডে বেরিয়ে যাওয়ায় মহা বিকাশ আঘাদি সরকারের পতন ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন উদ্ধব ঠাকরে। অবিভক্ত শিবসেনা ভাগাভাগি হয়ে যায় শিবসেনা (উদ্ধব) এবং শিবসেনা (শিন্ডে) দলে। এরপর এনডিএ শিবিরে যোগ দিয়ে বিজেপির সহায়তায় সরকার গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। এর কিছুদিন পরে এনসিপি-ও ভেঙে যায়। কাকা শরদ পাওয়ারকে ছেড়ে বেশ কিছু বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান ভাইপো অজিত পাওয়ার এবং এনডিএ শিবিরে যোগ দেন।
বর্তমানে, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন মহাযুতি জোটে রয়েছে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার)। অন্যদিকে বিরোধী আসনে রয়েছে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী), কংগ্রেস ও এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী)।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন