'RSS-কে নিষিদ্ধ করা হোক' - সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকীতে অতীত স্মরণ করে আক্রমণ খাড়গের
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে (৩১ অক্টোবর) আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এর আগে তাঁর পুত্র এই দাবি তুলেছিলেন।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খাড়গে বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ দেশের অধিকাংশ আইনশৃঙ্খলার সমস্যা বিজেপি এবং আরএসএস-এর কারণে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যিই সর্দার প্যাটেলের ভাবনাকে সম্মান করেন, তবে এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ;লৌহপুরুষ' প্যাটেল ও 'আয়রন লেডি' ইন্দিরা গান্ধী - দু’জনেই ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য আজীবন লড়াই করেছেন।"
খাড়গে স্মরণ করান, ১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর প্যাটেল নিজেই আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করেছিলেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে লেখা প্যাটেলের সেই ঐতিহাসিক চিঠির উল্লেখ করেন খাড়গে, যেখানে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরএসএস-এর “সন্দেহজনক কার্যকলাপ”-এর কথা জানিয়েছিলেন।
খাড়গে বলেন, “তারা (বিজেপি–আরএসএস) সবসময় নেহরু ও প্যাটেলের মধ্যে বিরোধ দেখাতে চায়। অথচ ওঁরা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ করেছিলেন।"
খাড়গে অভিযোগ করেন, "মোদি সরকার ইতিহাস বিকৃত করছে। এনসিইআরটি পাঠ্যবই থেকে গান্ধী, গডসে, আরএসএস এবং ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হচ্ছে। সর্দার প্যাটেল জাতির ঐক্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। আজ ওরা নিজেদের সুবিধামতো ইতিহাস লিখছে।"
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের স্ট্যাচু অব ইউনিটিতে সর্দার প্যাটেলকে শ্রদ্ধা জানান। সেই অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ভারতের সংহতি গঠনে প্যাটেলের ভূমিকা ছিল অমূল্য।
প্রধানমন্ত্রী জানান, "সর্দার প্যাটেল চেয়েছিলেন কাশ্মীরও অন্যান্য রাজ্যের মতো ভারতের সঙ্গে যুক্ত হোক। কিন্তু নেহরুজি তাঁর ইচ্ছা পূরণ হতে দেননি। কংগ্রেসের সেই ভুলের জন্য এখনও ভুগছে দেশ"।
উল্লেখ্য, এর আগে মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক খাড়গে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৪ অক্টোবর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে একটি চিঠি লেখেন প্রিয়ঙ্ক।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, “আরএসএস নামের একটি সংগঠন সরকারি ও অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল এবং সরকারি মাঠে নিজেদের শাখা পরিচালনা করে। স্লোগানের মাধ্যমে শিশু ও তরুণদের মনে সংবিধান ও দেশের ঐক্যের বিরুদ্ধে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলছে। তাই আমি অনুরোধ করছি সরকারি ও অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল, মাঠ, পার্ক, মন্দির, প্রত্নতত্ত্ব দফতরের স্থানসহ সব সরকারি জায়গায় আরএসএসের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বা ‘বৈঠক’ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হোক।” এর আগে ১৯৪৮, ১৯৭৫ ও ১৯৯২ সালে মোট ৩ বার আরএসএস সর্বভারতীয় স্তরে নিষিদ্ধ হয়েছিল।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

