

ফেব্রুয়ারির প্রথমেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সিএজির ‘ফাঁস’ হওয়া রিপোর্টে উঠে এল আপ জমানায় আবগারি লাইসেন্স বণ্টন সংক্রান্ত নীতিতে অনিয়মের অভিযোগ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নীতির ফলে দিল্লি সরকারের অন্তত ২,০২৬ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ ফাঁস হওয়া ওই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে খরব প্রকাশ করেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আপ সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর শনিবার বলেন, ‘আপের আবগারি নীতি যদি এতই ভাল ছিল, তবে কেন তা বাতিল করা হল? দিল্লিবাসীর কাছে ওরা (আপ) হল আপ-দ’।
অন্যদিকে আপের দাবি, পরিকল্পিতভাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিএজি-র রিপোর্ট 'ফাঁস' করা হয়েছে। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের প্রশ্ন, ‘ভোটের আগেই সিএজি রিপোর্ট ফাঁস হল। রিপোর্ট কি বিজেপির অফিসে বানানো হয়েছে? সিএজি তাদের রিপোর্ট কেন সরকারি ভাবে প্রকাশ করছে না?’
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ৮ তারিখ ভোট গণনা। এবারের দিল্লি নির্বাচনে আপ-কংগ্রেস-বিজেপি ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। তবে ভোটের আগের আপ সরকারের জমানায় হওয়া দুর্নীতি নিয়ে সিএজি-র রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ সালে দিল্লিতে আবগারি নীতিতে বদল আনে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নয়া নীতি কার্যকর হয়। ফাঁস হওয়া ওই সিএজি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসৌদিয়া বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অগ্রাহ্য করে এই নীতি চালু করেছিলেন।
এরপর ২০২২ সালে দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা অভিযোগ তোলেন, নতুন আবগারি নীতিতে অনিয়ম হচ্ছে। তিনি নীতি বাতিলের পাশাপাশি এ বিষয়ে তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের সুপারিশ দেন। সে সময় দিল্লির মুখ্যসচিবও একটি রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন, মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। মদের ব্যবসায়ীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এই বেনিয়মের মামলায় সিবিআই এবং ইডি পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় কেজরীওয়াল, মণীশ সিসৌদিয়া, সঞ্জয় সিংয়ের মতো আপ-এর প্রথম সারির নেতাদের এবং তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) –র প্রধান চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কবিতাকে। কিন্তু আদালতে এঁদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এঁরা সকলেই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন