
বিরোধীদের আনা উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ফের উত্তাল হল সংসদের উচ্চকক্ষ। নজিরবিহীন বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এর পরেই আজকের মত মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভা।
জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ বরাবরই করছে বিরোধীরা। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সাথে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। শুক্রবারও একে অন্যকে আক্রমণ করলেন তাঁরা।
জগদীপ ধনখড় বলেন, আমি কৃষকের ছেলে। এই অপমান মেনে নেব না। কোনও অবস্থাতেই আমি পিছিয়ে যাব না। পাল্টা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, আপনি যদি কৃষকের ছেলে হন তাহলে আমিও শ্রমিকের ছেলে। আপনার থেকে অনেক বেশি বাধার সম্মুখীন হয়েছি আমি। আপনি ক্রমাগত আমাদের এবং কংগ্রেসকে অপমান করছেন। আমরা আপনার কথা শুনতে এখানে আসিনি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছি। আপনি যদি আমাকে অপমান করে যান তাহলে কীভাবে আমি আপনাকে সম্মান করব?"
কংগ্রেস সভাপতি আরও অভিযোগ করেন, জগদীপ ধনখড় মহাশয় শাসক শিবিরকে কথা বলার জন্য অতিরিক্ত সময় দিচ্ছেন। বিরোধীদের কোনও কথাই বলতে দিচ্ছেন না।
এদিনই অধিবেশনের শুরুতে বিজেপি সাংসদ জেপি নাড্ডা অভিযোগ করেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে সহযোগিতা করছেন না। বিরোধীরা বক্তব্য রাখার অনেক সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু কাজে লাগাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে প্রথম বার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। ৫০-র বেশি সাংসদ জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে এবং আরজেডির সাংসদরা সই করেছেন। রাজ্যসভার সচিবালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব জমা করা হয়। ভারতীয় সংবিধানের ৬৭(বি) ধারায় পেশ করা হয় এই অনাস্থা প্রস্তাব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন