
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (SKM) শীর্ষ নেতৃত্ব পাঞ্জাব হরিয়ানা সীমান্তের খানৌরি এবং শম্ভু অঞ্চলে গিয়ে দেখা করবেন অনশনরত কৃষক নেতা জগজিত সিং ডালেওয়ালের সঙ্গে। শুক্রবার একই সঙ্গে তাঁরা দেখা করবেন আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গেও। যদিও পাঞ্জাব হরিয়ানা সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থানরত কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে নেই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (নন পলিটিক্যাল) এবং কিষাণ মজদুর সংঘ।
শুক্রবার বিকেলে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দশ থেকে বারো জন শীর্ষ নেতৃত্ব ডালেওয়ালের সঙ্গে দেখা করবেন। গত ২৬ নভেম্বর থেকে তিনি কৃষকদের দাবি নিয়ে অনশনে বসেছেন। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। এসকেএম-এর প্রতিনিধিদলে থাকবেন রাকেশ টিকায়েত (সভাপতি, বিকেইউ-টিকায়েত), হরিন্দর সিং লাখোয়াল (সাধারণ সম্পাদক - বিকেইউ-লাখোয়াল), মনজিত সিং ধানের সহ অন্যান্যরা। এই প্রতিনিধিদলে থাকতে পারেন এআইকেএস-এর শীর্ষ নেতা হান্নান মোল্লা।
এই প্রসঙ্গে ধানের সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমাদের পথ এবং আন্দোলন আলাদা হলেও আমাদের দাবি এক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবিলম্বে কৃষকদের কথা শোনা উচিত এবং ১৮ দিন ধরে অনশনরত ডালেওয়ালের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসা উচিত।
জানা গেছে, ১৮ দিন ধরে অনশন করার পর ডালেওয়ালের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। তাঁর ওজন কমেছে বারো কেজি। এছাড়াও দীর্ঘ অনশনের কারণে তাঁর লিভার, কিডনি, হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা নজরে রাখছে এক এনজিও সংস্থার চিকিৎসক দল। এছাড়াও বৃহস্পতিবার সরকারি চিকিৎসকদের এক দল তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন।
এর আগে অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৯ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই আবারও আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন পাঞ্জাবের কৃষক নেতা জগজিত সিং দালেওয়াল। ওইদিন সন্ধ্যেয় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (নন পলিটিক্যাল)-র প্রধান হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এর আগে তাঁকে খানৌরি সীমান্ত অঞ্চল থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে লুধিয়ানার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ছাড়া পাবার পর কৃষক নেতা বলেন, যতদিন না কৃষকদের দাবি মেটানো হবে ততদিন তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (নন পলিটিক্যাল)-এর প্রধান দালেওয়াল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “যেহেতু আমি কৃষকদের স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করার ঘোষণা করেছিলাম, আমি হাসপাতালেও কিছু খাইনি। সরকারের নির্দেশে পুলিশ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা আমাকে আমাকে অনশন ভাঙার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি অনশন ভাঙিনি। আমি এখন খানৌরি যাচ্ছি এবং সেখানে আমার অনশন চালিয়ে যাব।”
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁরা ওই অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষি ঋণ মকুব, কৃষকদের জন্য পেনশন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা সহ একাধিক দাবিতে বার বার সরব হয়েছেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন