
একাধিক দাবিতে ফের সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছে কৃষকরা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার একাধিক কৃষক সংগঠন মিছিল শুরু করে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তাঁদের শম্ভু সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়। মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না হয় তার জন্য বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সীমানায় কড়া নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছিল পুলিশ। কয়েক স্তরীয় ব্যারিকেড দিয়েছিল পুলিশ। কৃষকরা সেই ব্যারিকেড ঠেলে এগোতে চাইলে তাঁদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই আম্বালার বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (অরাজনৈতিক) সহ একাধিক কৃষক সংগঠনের সদস্যরা শম্ভু বর্ডারে বাধা পেয়ে পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অনেকের হাতে জাতীয় পতাকা রয়েছে। পুলিশ এবং আধা সেনার উদ্দেশ্যে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ ভবন অভিযানে নামছে কৃষকরা। গত সোমবারের মিছিলটি নয়ডাতে আটকে দেওয়া হয়েছিল। ওই দিনও ব্যাপক যানজটের শিকার হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।
তাছাড়া গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শম্ভু ও খানাউড়ি সীমান্তে অবস্থানে বসে আছেন কৃষকরা। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষি ঋণক মুকুব, কৃষকদের জন্য পেনশন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা সহ একাধিক দাবিতে বার বার সরব হয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি এই নিয়ে একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে কোনও কাজ করা উচিত নয়। সকলেই জানেন খানউড়ি সীমান্ত যান চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবাদ সঠিক না ভুল সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন