
আদানি ইস্যু নিয়ে সংসদ ভবন চত্বরে অভিনব প্রতিবাদ বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবন চত্বরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধী সাংসসদের পরনে দেখা যায় কালো জ্যাকেট। যার পিছনে মোদীর স্লোগান কিছুটা বিকৃত করে লেখা ‘মোদী-আদানি এক হ্যায়। আদানি সেফ হ্যায়’। যদিও এদিনের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের এই প্রতিবাদে উপস্থিত ছিল না তৃণমূল।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোট প্রচারে মোদী ধারাবাহিক ভাবে স্লোগান দিয়েছিলেন ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’। এদিনের বিরোধীদের প্রতিবাদে সেই স্লোগানকেই অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ মকর দ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, ডিএমকে, উদ্ধবসেনা-সহ দেশের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দলের সাংসদেরা। তাঁদের কালো জ্যাকেটের পিছনে লেখা স্লোগান। যদিও রাহুল গান্ধীকে দেখা যায় সাদা টি-শার্ট পরে। কিন্তু তাঁর টি-শার্টের পিছনে সাটা ছিল স্লোগানের স্টিকার। যদিও এদিনের আদানি ঘুষ-কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদে দেখা যায়নি তৃণমূলকে।
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংসদ কীর্তি আজাদ মন্তব্য করেন, ‘আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে। মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় রয়েছে। সেগুলো আমরা সংসদের অধিবেশনে তুলে ধরব’।
তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বুধবার এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘সংসদে বিজেপির কুকীর্তিকে প্রকাশ্যে আনার সার্বিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একজোট। তবে বিভিন্ন দলের সেই কৌশলকে বাস্তবায়িত করার বিভিন্ন উপায় থাকতেই পারে’।
তৃণমূলের গর হাজিরা নিয়ে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দলের সাংসদ গৌরব গগৈ ধর্নায় উপস্থিত থাকার জন্য বুধবার তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করে ফোন করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন সুদীপ। তিনি জানান, তৃণমূলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে, বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয়বঞ্চনা-সহ সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত মোট ছ’টি বিষয় নিয়েই তাঁরা সরব হবেন। সেই তালিকায় নেই আদানি ইস্যু।
প্রসঙ্গত, আদানি গ্রিন এনার্জির সাথে এক মার্কিন সংস্থা অ্যাজুরে পাওয়ারের চুক্তি হয়। যৌথ উদ্যোগে ১২ গিগাওয়াট সৌরশক্তি বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি করা হবে - এমনই লক্ষ্য ছিল প্রকল্পটির। প্রকল্পটি বিপুল লাভজনক। ২০ বছরে সংস্থাটি প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা লাভ করত। এই প্রকল্পের জন্যই ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন আদানি।
গৌতম আদানি ছাড়া অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন তাঁর ভাইপো সাগর আদানি, 'আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডে'র সিইও বিনীত জৈন, রূপেশ আগরওয়াল, রঞ্জিত গুপ্ত, সৌরভ আগরওয়াল, দীপক মালহোত্রা এবং অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সের দ্বৈত নাগরিক সিরিল ক্যাবানেস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন