

এদিনের মত দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত রাখলেন কৃষকরা। এক কৃষক নেতার বক্তব্য অনুসারে, নিরাপত্তা বাহিনীর ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলে বেশ কিছু কৃষক আহত হওয়ায় তাঁরা আজকের মত দিল্লি অভিযান স্থগিত রাখছেন। শুক্রবার সকালে শম্ভু সীমান্ত অঞ্চল থেকে ১০১টি কৃষক সংগঠনের ডাকে দিল্লি চলো অভিযান শুরু হয়।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (নন পলিটিক্যাল) নেতা সারণ সিং পান্ধের সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা আজকের মত জাঠা স্থগিত রাখছি। কারণ, আমাদের কিছু কৃষকের আঘাত লেগেছে।
কৃষক নেতার দাবি, এদিন টিয়ার গ্যাসের শেলে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছ’জন কৃষক আহত হয়েছেন। তিনি জানান, হরিয়ানার নিরাপত্তা বাহিনী কৃষকদের জাঠা লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে ওই কৃষকরা আহত হন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (নন পলিটিক্যাল) এবং কিষাণ মজদুর মোর্চার নেতৃত্ব আজই বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবেন।
কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান আটকাতে গতকাল থেকেই তৎপর ছিল হরিয়ানার বিজেপি সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। বহু জায়গাতে ব্যারিকেড করে কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।
যদিও, শুক্রবার সকালে কৃষকরা দিল্লি অভিমুখী জাঠা শুরু করলে হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের এগোতে বারণ করা হয়। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) ধারা ১৬৩ অনুসারে তাদের উদ্দেশ্যে এক নোটিশ দেওয়া হয়।
যদিও কৃষকরা সেই নোটিশ উপেক্ষা করে ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চেষ্টা করেন। এর পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভরত কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয়।
কৃষকদের বিক্ষোভ জাঠার জেরে এদিনই হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে আম্বালার ১১টি গ্রামে ৯ ডিসেম্বর রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা এবং বাল্ক এসএমএস সার্ভিস স্থগিত রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ ভবন অভিযানে নেমেছে কৃষকরা। গত সোমবারের মিছিল নয়ডাতে আটকে দেওয়া হয়েছিল। ওই দিনও কৃষকদের বিক্ষোভ মিছিল আটকাতে ব্যাপক সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শম্ভু ও খানাউড়ি সীমান্তে অবস্থানে বসে আছেন কৃষকরা। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষি ঋণ মুকুব, কৃষকদের জন্য পেনশন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা সহ একাধিক দাবিতে বার বার সরব হয়েছেন তাঁরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন