‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’। মঙ্গলবার আরও একবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে একথা জানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন আরও একবার ভোটার তালিকায় গরমিলের উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, ‘ওয়ান ম্যান, ওয়ান ভোট’ নীতি নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছে না নির্বাচন কমিশন।
এদিন সংসদ ভবন চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, এটা শুধুমাত্র একটা আসন নয় যেখানে ‘ভোট চুরি’ হয়েছে। এই ধরণের ঘটনা আরও অনেক আসনে ঘটেছে। এই গরমিল জাতীয় স্তরে পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পুরো বিষয়টাই জানে এবং আমরাও জানি। আমরা, কংগ্রেস দল দেশের সংবিধান রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
এদিন রাহুল বলেন, এর আগে কোনও তথ্য ছিলনা। কিন্তু এবার তথ্য সহ অভিযোগ পেশ করা হয়েছে। আমরা সংবিধান রক্ষার্থে কাজ করছি। এক ব্যক্তি, এক ভোট দেশের সংবিধানের মূল ভিত্তি। এটা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং কমিশন সেই দায়িত্ব পালন করছে না।
এদিন বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভে অনেকেই ‘মিনতা দেবী’-র ছবি সহ সাদা টি শার্ট পরে বিক্ষোভ দেখান। গেঞ্জির পেছনে লেখা ছিল, ‘১২৪ নট আউট’। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে বিহারের মিনতা দেবীর বয়স ১২৪ বছর এবং এই প্রথম তাঁর নাম ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছে। যাকে ভুয়ো বলে দাবি করেছে কংগ্রেস।
এদিন রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা সাংবাদিকদের জানান, সারা দেশ জুড়ে এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। যেখানে ভোটারদের ঠিকানা এবং তাঁদের আত্মীয়দের নাম সম্পূর্ণ ভুয়ো।
অন্যান্য দিনের মত মঙ্গলবারও সংসদের মকর দ্বারের সামনে বিরোধী দলের সাংসদরা জড়ো হয়ে ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভে রাজ্যসভায় কংগ্রেস দলনেতা এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী, ডিএমকে-র টি আর বালু, এনসিপি (এসপি)-র সুপ্রিয়া সুলে, বাম সাংসদরা, তৃণমূল সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভে কংগ্রেসের মাণিকরাম ঠাকুর অভিযোগ করেন, রাজীব কুমার এবং জ্ঞানেশ কুমারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কমিশন বিজেপির এক দপ্তরে পরিণত হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন