
জাতিগণনা নিয়ে বিরাট ভুল করে ফেলেছেন তিনি। এমনকি ওবিসিদের যন্ত্রণার কথা বুঝতেও অনেকটা দেরি করে ফেলেছেন। শুক্রবার এমনটাই জানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
২০০৪ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন রাহুল গান্ধী। তারপর কংগ্রেস ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু জাতিগণনা করানো সম্ভব হয়নি। আর এই দোষ নিজের ঘাড়েই নিলেন কংগ্রেস সাংসদ।
শুক্রবার দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ওবিসি সম্প্রদায়ের জন্য আয়োজিত 'ভাগিদারি ন্যায় সম্মেলন'-এ নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করেছেন রাহুল গান্ধী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, শচীন পাইলট সহ একাধিক শীর্ষ কংগ্রেস নেতা।
সকলের সামনে রাহুল গান্ধী বলেন, "জাতিগণনার বিষয়ে আগে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া ছিল ভুল, আমার ব্যক্তিগত ভুল। এখন সেই ভুল সংশোধনের সময় এসেছে।”
তিনি বলেন, “তেলেঙ্গানার আদমশুমারির ফলাফল ওবিসিদের ক্ষমতায় প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি স্পষ্ট করেছে। এই তথ্য আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এটা কংগ্রেসের ভুল ছিল না, আমার নিজের ভুল ছিল। আমি দুঃখিত। সেই ভুল শুধরে নেওয়ার পথে চলেছি।”
রাহুল গান্ধী তাঁর ২১ বছরের রাজনৈতিক জীবনের কথা স্মরণ করে জানান, তিনি ভূমি অধিগ্রহণ বিল, মনরেগা, খাদ্য নিরাপত্তা আইন, এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকারের মতো বহু ইস্যুতে ন্যায়ের পক্ষে লড়েছেন। কিন্তু ওবিসি সম্প্রদায়ের দাবি ও উদ্বেগগুলিকে অতীতে যথাযথ গুরুত্ব দিতে পারেননি। যা এখন তিনি উপলব্ধি করছেন।
তিনি ঘোষণা করেন, কংগ্রেস শাসিত প্রতিটি রাজ্যে জাতিগণনা পরিচালনা করা হবে এবং সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ সীমা অপসারণের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি ওবিসি যুব সমাজকে তাঁদের ইতিহাস ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি অভিযোগ করেন, আরএসএস বহু দশক ধরে ওবিসিদের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। রাহুল গান্ধীর মতে, “ওবিসিরা দেশের উৎপাদনশীল শক্তি, কিন্তু সিস্টেম তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন