
আইএএস অফিসারের মেয়েকে পিছু ধাওয়া এবং অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত আইনজীবী বিকাশ বারালাকে সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল (AAG) হিসেবে নিয়োগ করেছে হরিয়ানা সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, এই বিকাশ বারালা রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ সুভাষ বারালার ছেলে।
বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকারের তরফ থেকে ১৮ জুলাই জারি হওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে ৯৭টি নতুন নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত হয়। যেখানে নাম রয়েছে বিকাশ বারালার। বিকাশ বারালার বিরুদ্ধে বর্তমানে চণ্ডীগড়ের একটি আদালতে যৌন হয়রানির মামলা চলছে এবং তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৫ সালের ২ আগস্ট নির্ধারিত হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি আইনের ছাত্র ছিলেন।
২০১৭ সালের ৫ আগস্ট হরিয়ানা ক্যাডারের তৎকালীন আইএএস কর্মকর্তা ভি এস কুণ্ডুর মেয়ে বর্ণিকা কুণ্ডু বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বর্ণিকা জানিয়েছিলেন, চণ্ডীগড়ে রাতে বাড়ি ফেরার সময় বিকাশ এবং তাঁর বন্ধু আশীষ কুমার তাঁর গাড়ির পিছু নেন। জোর করে তাঁর গাড়ি থামিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেক্টর ২৬ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। প্রথমে বিকাশদের বিরুদ্ধে পিছু নেওয়ার মামলা রুজু হয়। পরে অপহরণের চেষ্টার মামলাও যুক্ত হয়। ওই বছরেরই অক্টোবরে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। পরে দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে ছিলেন বিকাশ। পরে হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।
বিকাশ বারালার নিয়োগকে ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন তুলেছে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, "অ্যাডভোকেট জেনারেলের অফিসে কেবল যোগ্য ব্যক্তিদেরই নিয়োগ করা উচিত।"
বর্ণিকার বাবা ভি এস কুণ্ডু বলেন, “এটি সরকারের বিষয় তারা কাকে নিয়োগ করবে। মামলাটি এখনও চলছে। কিন্তু এই নিয়োগ দুঃখজনক। সাত বছর কেটে গেছে, বিচার এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।”
বিকাশ বারালার বাবা সুভাষ বারালা ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য। তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন