

দিল্লিতে 'ঐতিহাসিক' জয় পেয়েছে বিজেপি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর দিল্লিতে সরকার চালাবে বিজেপি। রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে আপের। সেই আনন্দে সামাজিক মাধ্যমে দিল্লিবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দিল্লিতে শেষবার বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল ১৯৯৩ সালে। যার মেয়াদ শেষ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তারপর থেকে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছিল গেরুয়া শিবির। ২০২৫ সালে বিরোধী তকমা মুছে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের এক্স মাধ্যমে লেখেন, "জনগণের ক্ষমতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! বিকাশের জয় হয়েছে, সুশাসনের জয় হয়েছে। এই ঐতিহাসিক জয় উপহার দেওয়ার জন্য দিল্লির ভাই-বোনেদের ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। আপনারা আমাকে যে প্রচুর আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা দিয়েছেন, তার জন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ"।
তিনি আরও লেখেন, "দিল্লির সর্বাত্মক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে আমরা কোনও খামতি রাখব না। এটা আমাদের গ্যারান্টি"।
পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের সকল কর্মীকেও এই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, "বিজেপির এই বিপুল জয়ের জন্য যাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন তাঁদের জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত"।
অন্যদিকে দিল্লির জয়ে উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোস্যাল মিডিয়ায় লেখেন, "দিল্লিতে মিথ্যার রাজত্বের অবসান হয়েছে। এটি অহংকার এবং অরাজকতার পরাজয়। 'মোদী কি গ্যারান্টি' এবং মোদীজির উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি দিল্লির জনগণের বিশ্বাসের জয়। দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে মোদী আছেন। দিল্লির মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন যে বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না এই বিশাল জয়ের জন্য দিল্লির জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন