বারাণসীর ঘাটে অ-হিন্দুদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পোস্টারে চাঞ্চল্য

শুধুমাত্র ভারতবাসীই নন, বিদেশি পর্যটকদের বিশাল সংখ্যায় উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বারাণসী পরিদর্শনের উদ্দেশ্যেই ভারতে আসেন বহু বিদেশি।
বারাণসী ঘাট
বারাণসী ঘাটফাইল চিত্র

যাঁরা হিন্দু নন, তাঁদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। বারাণসীর বিভিন্ন ঘাটে এই মর্মে পোস্টারও পড়েছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদবজরং দলের এই পোস্টারে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। পোস্টার প্রসঙ্গে বজরং দলের বারাণসী শাখার প্রধান নিখিল ত্রিপাঠী রুদ্রর সাফ কথা, অনেকেই এই ঘাটগুলিকে পিকনিক স্পট ভাবেন। তাঁদের উদ্দেশ্য করেই পোস্টার টাঙিয়ে এই কড়া বার্তা। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা গঙ্গার ঘাটগুলিকে পিকনিক স্পট ভাবেন, তাঁদের দূরে রাখার ভাবনা থেকেই এই পোস্টার। তাঁদের এটা বোঝানো দরকার যে এটা পিকনিক স্পট নয়, সনাতন সংস্কৃতির প্রতীক।’

যোগী রাজ্যে এই ধরনের পোস্টার ঘিরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বক্তব্যও প্রায় একই। বারাণসীর সচিব রজন গুপ্তর কথায়, ‘যাঁরা সনাতন ধর্মকে শ্রদ্ধা দেখাতে এখানে আসবেন, তাঁদের স্বাগত।' তার বক্তব্য খুবই স্পষ্ট, যারা সনাতন ধর্মের প্রতি আস্থাশীল নন, তাঁদের মন্দির ও গঙ্গাঘাটে আসার কোনও অধিকারই নেই। পোস্টারগুলিতে পরিষ্কার ফতোয়ার সুর, ‘এটা কোনও অনুরোধ নয়, বরং হুমকি।’

স্বাভাবিক ভাবেই, গঙ্গাঘাটে এই ধরনের পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সারা বছরই বারাণসীর বিভিন্ন ঘাটে সাধারণ মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে। এছাড়াও পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে যথেষ্ট সংখ্যায়। শুধুমাত্র ভারতবাসীই নন, বিদেশি পর্যটকদের বিশাল সংখ্যায় উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বারাণসী পরিদর্শনের উদ্দেশ্যেই ভারতে আসেন বহু বিদেশি। দীর্ঘ সময় এখানেই কাটান তাঁরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিদেশিরা ভারতীয় সংস্কৃতির টানে আকৃষ্ট হয়ে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। বারাণসীর ঘাটের সন্ধারতি দেখেন, ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান। বিদেশিদের পাশাপাশি ভিনরাজ্যের মানুষদের আনাগোনায় গঙ্গার ঘাটগুলো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে। অপূর্ব বৈচিত্র্যময় ঐক‍্যের চিত্র ধরা পড়ে এই ঘাটগুলিতে।

কিন্তু কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা এখন আর সেই ঐক্য চাইছে না। বদলে ফেলতে চাইছে বালুরঘাট সনাতন চিত্রকে। ঘাটে ধূমপান করা নিয়ে বিরোধিতা করেছিল কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এবার অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে সরাসরি পোস্টার লাগিয়ে বিরোধিতা করার হুমকি দিল। কয়েকদিন আগে এলাকার চাঁদমারি অঞ্চলে চার্চের সামনে হিন্দুত্ববাদীরা হনুমান চল্লিশা পাঠ করেছিলেন।

বারাণসী ঘাট
Uttar Pradesh: ২০২১ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনায় শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ - জাতীয় মহিলা কমিশন

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in