

উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল ক্ষমতাসীন বিজেপি। তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো ফল করেছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, রাম জন্মভূমি আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা অযোধ্যা এবং সাম্প্রতিক বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ভগবান কৃষ্ণের মথুরা - তিনটি এলাকাতেই শোচনীয় পরাজয় হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। বারাণসী এবং অযোধ্যাতে জয়ী হয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। অন্যদিকে মথুরাতে জয়ী হয়েছে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে ৪০টি জেলা পরিষদের মধ্যে মাত্র ৮টিতে জিতেছে গেরুয়া শিবির, যেখানে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ১৫টি আসন। বহুজন সমাজবাদী পার্টি ৫টি এবং আপনা দল (এস) ৩টি আসনে জিতেছে এখানে। একটি আসনে জিতে বারাণসী কেন্দ্রে খাতা খুলেছে আম আদমি পার্টিও। এছাড়াও কয়েকটি আসন নির্দল প্রার্থীদের দখলে গিয়েছে।
মথুরাতেও ভরাডুবি ঘটেছে বিজেপির। মোট ৩৩ আসনের মধ্যে বহুজন সমাজবাদী পার্টি সর্বাধিক আসন জিতেছে এখানে, ১২টি। এরপর রয়েছে অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় লোকদল, তারা ৯টি আসনে জিতেছে। বিজেপি ৮টি আসনে জিতেছে। একটি আসনে জিতে এই জেলায় খাতা খুলেছে সমাজবাদী পার্টি। নির্দলের দখলে গিয়েছে ৩টি আসন। কংগ্রেস একটিও আসনে জয়লাভ করতে পারেনি।
অযোধ্যতেও বিজেপির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জেলা পরিষদের ৪০টি আসনের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি একাই জিতেছে ২৪টি আসনে। বিজেপির ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৬টি আসন। বহুজন সমাজবাদী পার্টি ৫টিতে জিতেছে। বাকি আসনগুলোতে জিতেছে নির্দল।
অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী - এই তিন জেলা বরাবরই বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। বিজেপির অধিকাংশ কর্মসূচি এই তিন জেলাকে কেন্দ্র করেই ঘোরে। অযোধ্যাতে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার পুরো কৃতিত্ব নিয়েছে গেরুয়া শিবির। যোগী সরকার নিজের চার বছরের মেয়াদে এই তিন জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তা সত্ত্বেও এই ফলাফল বিজেপির কাছে একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
প্রসঙ্গত কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীকে এই নির্বাচন না হলেও এবারের নির্বাচনে প্রথম সব রাজনৈতিক দল আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলো।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন