

গত সোমবার ভোপাল ইস্টার্ন বাইপাসের প্রায় ১০০ মিটার অংশ ধসে পড়ে। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সরকারের রিপোর্টে এই ধসের জন্য কৃষকদের দায়ী করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণে ব্যবহৃত মাটি নিম্নমানের বলেও জানা গেছে।
বাইপাসের ওই অংশটি ধসে যাওয়ার কারণে ৩০ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধসের মূল কারণ হল রিটেইনিং ওয়ালটি অনুমোদিত মান অনুযায়ী নির্মিত হয়নি। ব্যবহৃত মাটি নিম্নমানের ছিল এবং পাথরের পিচিং করা হয়নি, ফলে সহজেই জল জমার সম্ভাবনা তৈরি হয়। রিপোর্টে আরও উল্লেখ আছে, প্রাচীরের কাছে কৃষকরা মাটি খুঁড়ে রেখেছিল। ফলে জল যাওয়ার পথ আটকে জল জমে মাটি নরম হয়ে যায়। তাই ধস নামে।
এমপিডিআরসি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে ধসের সঠিক কারণ জানাতে বলা হয়।
ভোপাল ইস্টার্ন বাইপাসটি ২০১২-১৩ সালে বিল্ড-অপারেট-ট্রান্সফার (বিওটি) মডেলের মাধ্যমে হায়দ্রাবাদের মেসার্স ট্রান্সট্রয় প্রাইভেট লিমিটেড নির্মাণ করেছিল। ২০২০ সালে শর্তাবলী পূরণ না হওয়ায় চুক্তি বাতিল করা হয় এবং বর্তমানে এমপিডিআরসি সরাসরি রক্ষণাবেক্ষণ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অংশের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে এবং মাটির নমুনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে রাস্তাগুলির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা এই প্রথম নয়। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছিলেন যে অনুপযুক্ত কম্প্যাকশন, নিম্নমানের মাটি এবং ব্যর্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাঁধ ও রাস্তাগুলিকে অস্থিতিশীল করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাই সত্যি হল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
