
বৃহস্পতিবার বিরোধীদের বিক্ষোভের মাঝেই রাজ্যসভায় পেশ হল ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC)-র রিপোর্ট সহ ওয়াকফ বিলের সংশোধিত খসড়া। বিরোধীদের অভিযোগ, রিপোর্টে বিরোধীদের আপত্তির বিষয়টাই বাদ দেওয়া হয়েছে।
আজ দফায় দফায় উত্তাল হয়ে উঠছে সংসদের দুই কক্ষ। কখনও আয়কর বিল নিয়ে লোকসভা উত্তাল হচ্ছে তো কখনও ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসির রিপোর্ট পেশ নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে রাজ্যসভায়। রাজ্যসভায় বিরোধীদের থামাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় উপরাষ্ট্রপতি তথা উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে। প্রাথমিক ভাবে সভা মুলতুবি করে দেন তিনি। এর পর আবার অধিবেশন শুরু হলেও গন্ডগোল চলতে থাকে। এক পর্যায়ে ধনখড় বলেন, ‘‘আপনারা রাষ্ট্রপতির অবমাননা করছেন।’’
জেপিসির চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করার পরই আপত্তি জানান কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, ওয়াকফ বিলের একাধিক ধারা নিয়ে বিরোধীরা আপত্তি জানিয়ে 'নোট অফ ডিসেন্ট' দিয়েছিলেন। কিন্তু রিপোর্টে সেগুলি রাখা হয়নি। যদিও সংসদীয় ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান, সেরকম কিছুই হয়নি। বিরোধীদের আপত্তিপত্র বা 'নোট অফ ডিসেন্ট' পুরোটাই যোগ করা হবে।
গত ৮ আগষ্ট বিরোধীদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। এরপর বিলটি ‘অসংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা একযোগে আপত্তি জানান। দীর্ঘ বিতর্কের শেষে ঐকমত্যের লক্ষ্যে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি)-র কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।
গত ৩০ ডিসেম্বর জেপিসির বৈঠকে ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত ওয়াকফ বিল সংশোধনী সংক্রান্ত রিপোর্ট পাশ হয়। ৩১ ডিসেম্বর ওই রিপোর্ট স্পিকারের হাতে তুলে দেন জেপিসি চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল। তিনি বলেন, মোট ৩৮টি বৈঠকে ২৫০ পক্ষের সাথে আলোচনা করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন