J & K: আপ বিধায়কের গ্রেফতারিতে উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর, ডোডা জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট

People's Reporter: প্রশাসন BNSS-এর ১৬৩ ধারার অধীনে ডোডা জেলায় চার বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। গত সোমবার গ্রেপ্তার হন মেহরাজ মালিক। তাঁকে বর্তমানে কাঠুয়া জেলে রাখা হয়েছে।
আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিক
আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিকছবি - সংগৃহীত
Published on

আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিককে জননিরাপত্তা আইন (PSA)-এর আওতায় গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডোডা জেলায় ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রশাসন BNSS-এর ১৬৩ ধারার অধীনে ডোডা জেলায় চার বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিল কুমার ঠাকুরের জারি করা নির্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য, স্লোগান দেওয়া বা শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করতে পারে এমন কোনো কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লাঠি বা ধারালো অস্ত্র নিয়ে যাওয়াতেও কড়াকড়ি রয়েছে।

বুধবার সকালে পুলিশের গাড়ি থেকে মাইকিং করে ঘোষণা করা হয়, “ডোডা জেলায় ১৬৩ ধারা (পূর্বে ১৪৪ ধারা) জারি করা হয়েছে। সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে ও বাসিন্দাদের ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ করা হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত সোমবার গ্রেপ্তার হন মেহরাজ মালিক। তাঁকে বর্তমানে কাঠুয়া জেলে রাখা হয়েছে। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম বিধায়ক যিনি পিএসএ-তে গ্রেপ্তার হলেন। মঙ্গলবার রাতে মেহরাজ মালিকের মুক্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ চালায়।

উল্লেখ্য, এই আইনে কাউকে বিচার ছাড়াই সর্বোচ্চ দুই বছর আটক রাখা যায়। মালিক গত বছর বিজেপির প্রার্থী গজয় সিং রানাকে ৪,৫৩৮ ভোটে পরাজিত করে ডোডা আসন জয় করেছিলেন।

আপ-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে সাংসদ সঞ্জয় সিং ও জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্বে থাকা ইমরান হুসেন ইতিমধ্যে জম্মুতে পৌঁছে আইনজীবী দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

আপ মুখপাত্র মুদাস্সির হাসান বলেন, দল এই গ্রেপ্তারকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করবে। তিনি অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। এই সময় শিবা ব্রিজ এলাকায় ভূমিধ্বসও হয়, ফলে অনেকেই এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি।

মুদাস্সির প্রশাসনের পদক্ষেপকে “অন্যায় ও গণবিরোধী” বলে অভিহিত করেন। তাঁর অভিযোগ, “ডেপুটি কমিশনারের হাতে অন্য আইনি উপায় ছিল। তিনি চাইলে শাস্তিমূলক কমিটির কাছে পাঠাতে পারতেন বা এফআইআর দায়ের করতে পারতেন। কিন্তু তিনি একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে পিএসএ ব্যবহার করেছেন, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”

আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিক
VP Election: প্রত্যাশার চেয়ে ১৫ ভোট কম, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিং ইন্ডিয়া শিবিরের সাংসদদের!
আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিক
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনে আধারকে পরিচয় প্রমাণ হিসেবে ধরুন! SIR মামলায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in