
ভারত-পাক যুদ্ধ আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। এই নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা প্রসঙ্গে বিজেপি একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় যে ইউপিএ সরকারের সময় সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাবে দেশ দুর্বল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়, “শত্রুদের উদ্দেশ্যে আমাদের খুব স্পষ্ট বার্তা – আমাদের সাথে ঝামেলা করো না! ইউপিএ সরকারের নিষ্ক্রিয়তার মতো, নতুন ভারতের অর্থহীন শান্তি আলোচনা করার জন্য ধৈর্য নেই।”
এই পোস্টে যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করেছে বিজেপি তা স্পষ্ট। যার পাল্টা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, "তাহলে এখন কি রাজনীতি করতে হবে? রাজনীতি করার সময় চলে এসেছে? সরকারের তাহলে বিরোধীদের প্রয়োজন নেই এখন? এখন কি তাহলে একজোট হওয়ার বার্তা দেওয়া হবে না? সরকার এবং বিজেপিকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে তারা কোন পথে হাঁটতে চাইছে।”
খেরার মন্তব্যে পরিষ্কার, কংগ্রেস মনে করছে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক তরজা নয় বরং একসাথে থেকে দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করা জরুরি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই প্রতিক্রিয়া পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ঘটনাপ্রবাহ নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তান প্রসঙ্গে দেশের জনমত সংবেদনশীল হওয়ায়, উভয় দলই এটি ঘিরে নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে চাইছে।
অন্যদিকে, শনিবার বিকেল ৫ টা থেকে সমস্ত রকম সংঘর্ষ থেকে বিরতি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন। যদিও তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক্স মাধ্যমে পোস্ট করে সংঘর্ষ বিরতির বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতের আলোচনার পর, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ জ্ঞান এবং মহান বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন