Bihar Polls 25: 'আরজেডি-তে ফেরার থেকে মৃত্যু বেছে নেব' - নির্বাচনের আগে দাবি লালুপুত্রের
আরজেডি-তে ফেরার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। বিহার নির্বাচনের আগে এমনটাই মন্তব্য করলেন লালু প্রসাদের জেষ্ঠ্যপুত্র তথা বহিষ্কৃত আরজেডি নেতা তেজপ্রতাপ যাদব। পাশাপাশি নিজের জয় নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী তিনি।
চলতি বছর আরজেডি থেকে বহিষ্কার করা হয় তেজ প্রতাপ যাদবকে। তারপরই নিজের দল জনশক্তি জনতা দল গঠন করেন তিনি। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নিজের পুরনো কেন্দ্র (২০১৫ সালে আরজেডি-র প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন) মহুয়া থেকে লড়াই করছেন। যে কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন আরজেডির মুকেশ রৌশন। এবারেও তাঁকে টিকিট দিয়েছে আরজেডি। তবে মুকেশ রৌশনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তেজপ্রতাপ।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থায় তেজ প্রতাপ বলেন, রাজনীতিতে প্রবেশের অনেক আগে থেকেই আমি এই নির্বাচনী এলাকার সাথে যুক্ত। মহুয়ার মানুষ আমার পরিবার। আমার বিপক্ষে কে আছেন তা নিয়ে ভাবতে চাই না। আমি আমার নিজের দলের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, যার প্রতীক হল ব্ল্যাকবোর্ড।
তিনি আরজেডি-তে ফিরে যাবেন কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে তেজ প্রতাপ বলেন, "আরজেডি-তে ফেরা এবং মৃত্যু - এই দুটোর মধ্যে একটাকে বেছে নিতে বললে, আমি মৃত্যুকে বেছে নেব। আমি ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত নই। নীতি এবং আত্মসম্মান আমার কাছে সর্বোচ্চ। আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হল জনগণের জন্য কাজ করা। আমি আন্তরিকভাবে এটি করি এবং মানুষ আমাকে ভালোবাসে ও বিশ্বাস করে।"
প্রসঙ্গত চলতি বছরের মে মাসে আরজেডি থেকে বহিষ্কার করা হয় তেজ প্রতাপ যাদবকে। সেই সময় নিজের এক্স মাধ্যমে লালু প্রসাদ জানিয়েছিলেন, "ব্যক্তিগত জীবনে নৈতিক মূল্যবোধকে অবহেলা করলে তা সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের সম্মিলিত সংগ্রামকে দুর্বল করে দেয়। বড় ছেলের কার্যকলাপ, জনসমক্ষে আচরণ তথা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অতএব, আমি তাকে দল এবং পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। এখন থেকে দল এবং পরিবারে তার কোনও ভূমিকা থাকবে না। তাকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।"
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

