
ভারতীয় সেনাবাহিনীর তথ্য পাকিস্তানে পাচারের অভিযোগে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হল সহদেব সিং গোহিল নামের এক ব্যক্তিকে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS)।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি গুজরাটের কচ্ছ জেলাতে কর্মরত ছিলেন। বয়স ২৮, পেশায় একজন স্বাস্থ্যকর্মী। গুজরাট ATS-এর সিনিয়র কর্মকর্তা কে সিদ্ধার্থ জানান, ২০২৩ সালে গোহিল ‘অদিতি ভরদ্বাজ’ নামে এক পাকিস্তানি এজেন্টের সাথে পরিচিত হন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। এরপর ধীরে ধীরে তিনি নয়া নির্মিত কিংবা নির্মাণাধীন ভারতীয় নৌসেনা ও BSF-এর বিভিন্ন সাইটের ছবি এবং ভিডিও সেই এজেন্টকে পাঠাতে থাকেন।
কে সিদ্ধার্থ আরও জানান, "আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য ছিল যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে সেনাবাহিনী সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছিলেন। তদন্তে নিশ্চিত হওয়ার পর ১ মে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়"।
তদন্তে উঠে আসে, গোহিল ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ড ব্যবহার করে একটি সিম কার্ড সংগ্রহ করেন এবং তাতে OTP ব্যবহার করে পাকিস্তানি এজেন্টের নামেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চালু করেন। সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য শেয়ার করা হয়েছিল। ফরেনসিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, তথ্য পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত নম্বরটি পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হচ্ছিল।
গোহিল স্বীকার করেছেন, একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাঁকে ৪০,০০০ টাকা নগদ দিয়েছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিয়ো তুলে তাঁকে পাঠিয়েছিলেন। বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি পাঠিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে পাকিস্তানে তথ্য পাচারের অভিযোগে জ্যোতি মালহোত্রা নামের এক ইউটিউবার, দেবেন্দ্র সিং ধিলন নামের ২৫ বছরের দেবেন্দ্র পাতিয়ালার খালসা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক ছাত্র, নওমান ইলাহি নামে হরিয়ানায় এক নিরাপত্তারক্ষী, শেহজাদ নামের উত্তরপ্রদেশের রামপুরের এক ব্যবসায়ী সহ আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার সহদেব সিং গোহিল-র গ্রেফতারিতে সেই তালিকা আরও বড় হল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন