

নাটবল্টু চুরি! উড়ালপুল থেকে রাতারাতি উধাও প্রায় চার হাজার নাটবল্টু। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার যমুনানগর জেলায়। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে এই আশ্চর্য ঘটনার সম্মুখীন হন এক ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে এলাকায়।
যমুনানগর জেলার সহারনপুর এবং পঞ্চকুলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে রয়েছে একটি উড়ালপুল। যার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনের তরফে পাঠানো হয়েছিল এক ইঞ্জিনিয়ারকে। পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ ওই ইঞ্জিনিয়ারের। ইস্পাত-নির্মিত সেই উড়ালপুল থেকে প্রায় চার হাজার নাটবল্টু উধাও। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রায় চার হাজার নাটবল্টু চুরি করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ সংস্থা এই বিষয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, নাটবল্টু চুরি হয়ে যাওয়ায় আস্ত সেতুটাই তো যেকোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে বিহারে আস্ত একটি উড়ালপুল চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। লোহার তৈরী সেই উড়ালপুল চুরি করে চম্পট দেন দুষ্কৃতিরা। ১৯৭২ সালে ৫০০ টন ওজনের সেই উড়ালপুল তৈরী হয়েছিল বিহারে। পরে সরকারের তরফে সেটিকে 'বিপজ্জনক' আখ্যা দেওয়া হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন