DA মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে 'হাতিয়ার' করেই রাজ্যকে হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মী সংগঠনের

এই নিয়ে তৃতীয়বার পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হল। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, রাজ্যের আবেদনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। রাজ‍্যকে আমরা কোনওরকম সহযোগিতা করব না। দাবি সরকারি কর্মী সংগঠনের।
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টফাইল চিত্র
Published on

সরকারি কর্মচারীদের ডিএ সহ সমস্ত বকেয়া মেটানোর মামলায় ফের কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষেই রায় দিল আদালত। আদালতের এই রায়কে হাতিয়ার করে এবার রাজ‍্যকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিল সরকারি কর্মচারি সংগঠনগুলি।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। এই নিয়ে তৃতীয়বার পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হল। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, রাজ্যের আবেদনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।

আদালত আরও জানায়, দীর্ঘ শুনানির শেষে কী ভুল আছে, তা খুঁজে বের করা আদালতের দায়িত্ব না। রাজ্যের দাবি অনুযায়ী 'ডিটেইলস এনকোয়ারির' কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।

সূত্রের খবর, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য সরকার। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

রায় ঘোষণার পর কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সভাপতি শ্যামলকুমার মিত্রের বক্তব্য, আমরা কর্মচারীরাই জিতব। সরকারি কর্মীদের সমস্ত পাওনা, মহার্ঘ ভাতা, পঞ্চম বেতন কমিশনের ৩৪ শতাংশ, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ৩৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বকেয়া-সহ মিটিয়ে দিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার।

তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, শুধু আইনি লড়াইয়ে থেমে থাকা হবে না। এরপর রাস্তায় নামবেন কর্মচারিরা। সরকারের থেকে প্রাপ্য বকেয়া আদায় করেই ছাড়বে। রাজ্যের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, সব ডিএ দেওয়া হয়ে গেছে। এটা সর্বৈব মিথ্যা। আদালতে আমরা এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য প্রদান করেছি।

মিত্রবাবু বলেন, আদালত রায় দেওয়ার পরেও আমরা সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে বিনীত ভাবে বলেছিলাম, সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে রাজি। আপনারা ডিএ-র রায় কার্যকর করুন। কিন্তু সরকার কর্মীদের সহযোগিতার মনোভাব বোঝে না। তাই আমরা সরকারের সঙ্গে সার্বিক বিরোধিতার নীতিতে যাচ্ছি। রাজ‍্যকে আমরা কোনওরকম সহযোগিতা করব না।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে ডিএ মামলার রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশে বলা হয়, তিন মাসের মধ্যে সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১৯ আগস্ট। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করায় ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার।

কলকাতা হাইকোর্ট
বাংলার মাটিতে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের কারণ মমতা - কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের নিশানায় তৃণমূল নেত্রী
কলকাতা হাইকোর্ট
আরও ৯২৩ জনকে নিয়োগের নির্দেশ - সব বেআইনি নিয়োগ বাতিল করে যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে: অভিজিৎ গাঙ্গুলি
কলকাতা হাইকোর্ট
Gauri Lankesh: গৌরী লঙ্কেশের জীবনের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার পুরষ্কার পেল টরেন্টোয়

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in