
দীর্ঘ ২৭ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফলে তেমনটাই ইঙ্গিত মিলছে। পরাজিত হয়েছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পিছিয়ে রয়েছেন অতিশী এবং মণিশ সিসোদিয়াও। কংগ্রেস খাতা খুলতেই পারেনি। খারাপ ফলাফল নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক আপ এবং কংগ্রেসকে একসাথে আক্রমণ করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ।
ওমর আবদুল্লাহ এক্স মাধ্যমে একটি জিআইএফ ফাইল শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, একজন ঋষি বলছেন, 'জীবন ভর লড়াই করো। একে অন্যকে শেষ করে দাও'। এই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, "আরও নিজেদের মধ্যে লড়াই করো!!!"
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস এবং আপ পৃথকভাবে লড়াই করেছে। অধিকাংশ শরিক আপকে সমর্থনের বার্তা দেয়। নির্বাচনের প্রচারে আপ এবং কংগ্রেস লাগাতার একে অন্যকে আক্রমণ করেছে।
দিল্লির কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ‘কেজরিওয়ালের কোনও মতাদর্শ নেই। তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপির ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ, সিএএ, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করেছেন’।
আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং পাল্টা জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের অজয় মাকেন আসলে বিজেপির স্ক্রিপ্ট অনুসারে কথা বলছেন। যদি কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে, তাহলে আমরা 'ইন্ডিয়া' শরিকদের সঙ্গে কথা বলব, যাতে কংগ্রেসকে 'ইন্ডিয়া' থেকে বহিষ্কার করা হয়’।
নির্বাচনের দিন কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, "আমার প্রিয় দিল্লির ভাই ও বোনেরা, ভোট দেওয়ার সময় মনে রাখবেন দূষিত বায়ু, নোংরা জল, ভাঙা রাস্তার জন্য কে দায়ী? স্বচ্ছ রাজনীতি করার কথা বলে দিল্লিতে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি কে করেছে মনে রাখবেন।”
উল্লেখ্য, বেলা ১২টার ফলাফল অনুযায়ী ৪৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, ২৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আপ। কংগ্রেস এবং অন্যান্যরা শূন্য। ৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপি লড়েছিল ৬৮টি আসনে। একটি করে আসন ছেড়েছিল চিরাগ পাসওয়ানের দল এলজেপি এবং নীতিশ কুমারের জেডিউকে। অন্যদিকে আপ এবং কংগ্রেস পৃথকভাবে ৭০টি আসনেই লড়াই করেছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন