
কিষাণ পঞ্চায়েতে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাই মানতে হবে কৃষকদের। এমনটাই জানালেন বিকেইউ - টিকায়ত নেতা রাকেশ টিকায়ত। পাশাপাশি কৃষকদের বিক্ষোভ থামিয়ে শান্ত থাকারও বার্তা দিয়েছেন এই কৃষক নেতা।
উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে লাগাতার কৃষক আন্দোলন চলছে। নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে বার বার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। বুধবারও যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। পুলিশের সাথে ব্যাপক বচসা হয় বিক্ষোভকারীদের। আটক করা হয় কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়তকে।
রাকেশ টিকায়ত বলেন, আমরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি তার সমাধান খুঁজতে আলোচনায় বসতে হবে। সকল কৃষকদের ট্রাক্টর নিয়ে লখনউ যাওয়ার আবেদন করছি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সাথে আমাদের সমস্যা চলছে। সমস্যা সমাধানের জন্য সকলকে আসতে হবে।
তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে কৃষকদের বিক্ষোভ শেষ করার কথাই বলব। গৌতম বুদ্ধ নগরে যে কিষাণ পঞ্চায়েত চলছে তার সিদ্ধান্তের জন্য সকলকে অপেক্ষা করতে হবে। সেখানে যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে তা সকলকে মানতে হবে। আমি জানি কৃষক ভাইরা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার কৃষক নেতাদের সাথে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য গ্রেটার নয়ডা যাচ্ছিলেন রাকেশ টিকায়ত। যাওয়ার পথেই তাঁকে আটক করা হয়। আটক করে কৃষক নেতাকে টপ্পল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গতকাল সন্ধ্যাতেই তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু টিকায়তই নন, তাঁর সাথে আটক হওয়া একাধিক কৃষককেও মুক্তি দেওয়া হয়।
থানা থেকে বেরিয়েই টিকায়ত জানান, আমাদের কতদিন আটকে রাখবে? আমরা যদি আটক থাকি তাহলে সমস্যা সমাধানের জন্য কাদের সাথে কথা বলবে প্রশাসন? এইভাবে চলতে থাকলে কৃষক আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।
সোমবার সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দিয়ে পথে নেমেছিলেন হাজার হাজার কৃষক। পুলিশের বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন আন্দোলনকারী কৃষকরা। মঙ্গলবার গৌতম বুদ্ধ নগরে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। মহিলা থেকে বয়স্ক কেউ বাদ পড়েনি। পরের দিন মহিলা এবং বয়স্কদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে বুধবার 'জিরো পয়েন্টে' কৃষকরা মিলিত হয়ে ফের বিক্ষোভ দেখান। সকলের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। পরে চাপের মুখে আটক হওয়া সকলকে ছাড়ে প্রশাসন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন