

আজমের শরিফে সমীক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখলেন প্রাক্তন আমলা ও কূটনীতিবিদরা। ভারতীয় সংবিধান ও সংহতি ধ্বংস হচ্ছে বলে চিঠিতে দাবি করেছেন বিশিষ্টজনরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং, যুক্তরাজ্যে ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার শিব মুখার্জি, প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি সহ একাধিক প্রাক্তন আমলা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।
চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে সমীক্ষা চালানো সংবিধান পরিপন্থী। এইভাবে কোনও দেশের উন্নতি হতে পারে না। কিছু গোষ্ঠী রয়েছে যারা বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। এটা কাম্য নয়। এই বিষয়ে আপনি দ্রুত পদক্ষেপ নিন।
অন্যদিকে, ভারতের উপাসনা স্থল আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি প্রায় সমস্ত মসজিদকে মন্দির বানানোর চেষ্টা করছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানান, সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আদালতে উপাসন স্থল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন তার কারণেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এই সুযোগ পেয়েছে। তাই মসজিদ ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলার দাবি জানানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আজমির শরিফের নীচে হিন্দুদের মন্দির রয়েছে বলে দাবি করেছেন হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ। যা নিয়ে গত সপ্তাহে মামলাও দায়ের হয় আদালতে। আজমিরের ডেপুটি মেয়র নীরজ জৈন জানান, মসজিদটি আসলে একটি হিন্দু মন্দির এবং সংস্কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। সেগুলি ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে। প্রাচীনকালে বহু মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়েছিল।
স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আজমির শরিফের ‘আড়াই দিন কা ঝোপড়া’ মসজিদটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন