

শনিবার সকাল ১১টায় সিঙ্ঘু সীমান্তে পর্যালোচনা বৈঠকে বসছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। আগামী দিনে কীভাবে মোর্চার আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই এদিনের বৈঠক বলে জানিয়েছেন এসকেএম-এর এক মুখপাত্র। মোর্চার অভিযোগ, ৩ কৃষি আইন বাতিলের পর ৬ সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কমিটি তৈরির বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
৪০টির বেশি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা গত ৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের লিখিত প্রতিশ্রুতির পর তাদের আন্দোলন সাময়িক প্রত্যাহার করে নেয়। এর আগে দীর্ঘ ১ বছর ধরে সংগঠন আন্দোলন চালিয়েছিলো। দীর্ঘ এই আন্দোলন চলাকালীন প্রায় ৭০২ জন কৃষক শহিদ হয়েছেন বলেও এর আগে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে মোর্চা সদস্য ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত আইএএনএসকে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত কমিটিতে কারা কারা থাকবেন সেই বিষয়ে কোনো ঘোষণা করেনি। এছাড়াও আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর থেকে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়েও এখনও কিছু জানানো হয়নি।
তিন কৃষি আইন বাতিলের পর ভবিষ্যতে কৃষক আন্দোলন কোন পথে এগোবে? সেই প্রসঙ্গে এআইকেএস নেতা হান্নান মোল্লা জানিয়েছিলেন – “আমাদের আন্দোলন শেষ হয়েছে এই ভাবনা সঠিক নয়। কারণ কৃষকদের আন্দোলন দুটি দাবিতে শুরু হয়েছিল- তিনটি খামার আইন প্রত্যাহার এবং এমএসপি গ্যারান্টির জন্য একটি নতুন আইন আনা। আমাদের দাবিগুলি অর্ধেক পূরণ হয়েছে। এখন কী হবে? তা আলোচনার মাধ্যমে রূপ নির্ধারণ করা হবে।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন