
ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর মতে, ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা মৃত। এমনকি ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে কারচুপি করে বিজেপিকে জেতানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন রাহুল।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে আসছে কংগ্রেস। এখনও একই অবস্থানে রয়েছে তারা। শনিবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস পার্টির বার্ষিক আইনি সম্মেলনে রাহুল জানান, কংগ্রেস শীঘ্রই নির্বাচনী কারচুপির প্রমাণ সকলের সামনে আনবে। তিনি বলেন, “আমরা সমস্ত প্রমাণ সহ শীঘ্রই আপনাদের দেখাব যে কীভাবে একটি লোকসভা নির্বাচন কারচুপি করে জেতানো যায় এবং কীভাবে সফলভাবে তা করা হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি খুব সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরেছে এবং মাত্র ১৫টি আসনে কারচুপি না হলে তারা সরকার গঠন করতে পারত না। রাহুল বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী খুবই ক্ষীণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যদি মাত্র ১৫টি আসনে কারচুপি না হত, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না।”
রাহুল আরও বলেন, "আমার মনে আছে, যখন আমি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লড়ছিলাম, তখন অরুণ জেটলিজিকে আমার কাছে পাঠানো হয়েছিল আমাকে হুমকি দিতে। উনি বলেছিলেন, ‘তুমি যদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ করতে থাকো, তাহলে আমাদের তোমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ আমি তাঁকে বলেছিলাম, ‘আপনি জানেন না আপনি কাকে বলছেন'।”
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাহুল গান্ধী দাবি করেন, কংগ্রেস একটি “অ্যাটম বোমা”-র মতো প্রমাণ হাতে পেয়েছে। যা ভোটার তালিকায় বিপুল পরিমাণে কারচুপির ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, “আমরা গভীর অনুসন্ধান করেছি, কারণ নির্বাচন কমিশন কোনো সহযোগিতা করেনি। আর সেই অনুসন্ধানে আমরা যা পেয়েছি, তা একেবারে অ্যাটম বোমা। যখন এটা ফাটবে, তখন ভারতে নির্বাচন কমিশন বলে কিছু থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনে কারচুপি আমাদের সন্দেহ তৈরি হয়ে ছিল কিন্তু আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে সেটা আমাদের ধারণা গভীর হয়েছে। রাজ্য স্তরেই ভোট চুরি হয়েছে বলে মনে আমরা করছি।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন