
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে ফের কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর মতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কখনই ভারতের মেনে নেওয়া উচিত নয়।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সম্পর্ক আরও অবনতি হয়। ভারতে একাধিকবার ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যার যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুই দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে বিরতি আনতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রশাসন এক সম্ভাব্য "পারমাণবিক যুদ্ধ" এড়াতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই মন্তব্যের পর বুধবার মোদী সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। তারা জানতে চায় - ভারতের নিরাপত্তা কি যুক্তরাষ্ট্রের চাপে বন্ধক রাখা হয়েছে?
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ এক্স মাধ্যমে লেখেন, "দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য (ট্রাম্পের দাবি) সম্পর্কে নীরব কেন? মার্কিন চাপের মুখে কি তাঁরা ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থ বন্ধক রেখেছেন? আমেরিকান পাপা নে যুদ্ধ রুকওয়া দি কেয়া (আমেরিকান বাবা কি যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছেন)?"
সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমান, টেসলার সিইও এলন মাস্ক ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ট্রাম্প ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তাঁর প্রশাসন বাণিজ্যিক চুক্তি এবং নিষেধাজ্ঞার কৌশল ব্যবহার করে ভারতকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছিল।
এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা ট্রাম্পের বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে লেখেন, "ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু ভারত ও পাকিস্তানকে এক করে ফেলছেন না, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাথে তুলনাও করছেন। এই তুলনা কি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মেনে নিচ্ছে?"
তবে ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং এ বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। সূত্র মারফত খবর, দুই দেশের ডিজিএমওদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এতে কোনও বাইরের দেশ বা তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা ছিল না।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ভারত সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার আগেই ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। এই নিয়ে বিতর্ক তখন থেকেই চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন