
আরও একবার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হবার কথা থাকলেও আইনজীবীদের আপত্তিতে পিছিয়ে গেল শুনানি। আদালতের কাছে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বাল জানিয়েছিলেন সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন অন্য একটি মামলার শুনানিতে তাঁরা ব্যস্ত থাকবেন। তাই এই মামলার শুনানি যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। যা মেনে নিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি কবে হবে তা এখনও জানা যায়নি।
অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত ১২ আগস্টও রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বাল এসআইআর সংক্রান্ত মামলায় ব্যস্ত থাকবেন বলে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেবার আর্জি জানিয়েছিলেন। সেদিনও তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয় বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পি কে মিশ্রের বেঞ্চ।
২০২২ সালে কলকাতা হাই কোর্ট সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ডিএ রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অধিকার। কেন্দ্রীয় হারেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তা পাওয়ার যোগ্য। যদিও হাই কোর্টের এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টও গত ১৬ মে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেবার পক্ষে নির্দেশ দেন। যদিও সেই নির্দেশ মানেনি রাজ্য সরকার। যা নিয়ে গত ৪ আগস্ট শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গত ৪ আগস্ট বিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, কেন নির্দেশমতো বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ সরকারি কর্মচারীদের দেওয়া হল না? উত্তরে রাজ্য জানায়, আদালতের রায় তারা কার্যকর করতে চায়। কিন্তু তার জন্য সময় লাগবে। রাজ্যের পক্ষের আইনজীবীরা ব্যাখ্যা দেন, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটাতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সেই অর্থ জোগাড় করতে সময় লাগবে।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বকেয়া রয়েছে। সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। গত ১৬ মে শুনানিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, ১০ বছরে যে ডিএ বাকি আছে তার ২৫ শতাংশ পরের ছ'সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। ২৭ জুন পর্যন্ত সেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। যদিও ডিএ দেবার বদলে ২৭ জুন সুপ্রিম কোর্টে ছ'মাসের সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। পাশাপাশি আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন