
সন্ত্রাস মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।
পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হানার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। সকলেই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। সোনিয়া গান্ধী বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশ ঐক্যবদ্ধ। এই বিভেদ সৃষ্টিকারী ও হিংসাত্মক শক্তিগুলিকে পরাজিত করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যাপক সামাজিক ঐকমত গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "এটি সহিংসতার আশ্রয় নেওয়া কাপুরুষোচিত কাজ। যার তীব্র নিন্দা করা উচিত। আমি আহতদের সম্পূর্ণ এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।"
অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এক্স মাধ্যমে জানান, "পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক কারার সাথে কথা বলেছি। পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার ন্যায়বিচার পাক এবং তাঁদের সাথে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে"।
এই সময় সবরকমভাবে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "এই আক্রমণ ভারতের ঐক্য ও সার্বোভৌমত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ। মঙ্গলবার রাতেই আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে কথা বলেছি। এটা দলীয় রাজনীতির সময় নয়। এটা সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার সময়। যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাঁদের শোকাহত পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার সম্মিলিত সংকল্পের সময়।"
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় নৃশংস জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিরীহ পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এই বর্বরোচিত হামলার পর দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র।
নিহতদের মধ্যে ৩ জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এর মধ্যে দু’জনের বাড়ি কলকাতাতে এবং একজনের পুরুলিয়ায়। জঙ্গি হামলায় নিহত মনীশরঞ্জন মিশ্র পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা। নিহত সমীর গুহ বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা এবং নিহত বিতান অধিকারী কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা পাটুলির বাসিন্দা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন