

বিহার নির্বাচনের আগেই কেরালা কংগ্রেসের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তেজস্বী যাদব। এই নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে বিজেপিও। যা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কেরালা প্রদেশ কংগ্রেসের এক বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তীব্র রাজনৈতিক ঝড় উঠেছে। পোস্টটি মূলত কেন্দ্রের পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) নীতির সমালোচনার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তবে সেখানে বিহারকে ‘বিড়ি’র সঙ্গে তুলনা করার অভিযোগ উঠেছে।
বিতর্কিত ওই পোস্টে লেখা ছিল: “Bidis and Bihar start with B. Cannot be considered a sin anymore.” সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল একটি তালিকা, যেখানে দেখানো হয়েছিল - বিড়ির উপর জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে নামিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে সিগারেটের জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার বিষয়টি।
তীব্র বিতর্কের পর কেরালা কংগ্রেস ওই পোস্ট মুছে দিয়ে এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) ক্ষমা চেয়ে লেখে, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মোদীর GST রাজনীতিকে ব্যঙ্গ করা। যদি কারও মনে আঘাত লেগে থাকে, আমরা দুঃখিত।”
কিন্তু ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক থামেনি। ইন্ডিয়া জোট সঙ্গী আরজেডি নেতা তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “এমন কোনো মন্তব্য করা হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ক্ষমা চাইতেই হবে। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, এটি ভুল। আমরা এর সমর্থন করি না।”
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেনও পোস্টের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “কোনো রাজ্য বা তার বাসিন্দাদের এভাবে তুলনা করা উচিত নয়। যদি এমন পোস্ট হয়ে থাকে, অবশ্যই তা প্রত্যাহার করতে হবে।”
এলজেপি (রামবিলাস) প্রধান চিরাগ পাসওয়ান মন্তব্য করেন, “এই পোস্ট বিহার এবং কোটি কোটি বিহারবাসীকে অপমান করেছে। কংগ্রেসের এ ধরণের মন্তব্য নতুন কিছু নয়। এই মন্তব্য শুধু বিহারের নয়, পরিশ্রমী ভারতীয়দের মর্যাদার উপর আঘাত।”
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিতর্ক কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। মহাগঠবন্ধনের অংশীদার হিসেবে কংগ্রেস ইতিমধ্যেই চাপের মুখে। সম্প্রতি দারভাঙ্গায় রাহুল গান্ধীর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সময় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ ওঠার পর আরও বিপাকে কংগ্রেস।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন