

ম্যানহোল পরিস্কার করতে নেমে কার কার মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের সন্ধান করে পরিবারের হাতে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণ তুলে দিতে হবে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও বিচারপতি এন. ভি. আঞ্জারিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানায়, এখনও বহু জায়গায় নিহতের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। ফলে তৎপরতা বাড়াতে হবে সরকারকে।
২০২৩ সালের ২০ অক্টোবরের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সিউয়ার ও নালা পরিষ্কার করতে নেমে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ করার নির্দেশ দেয়। তবে তার আগে যারা মারা গেছেন, তাঁদের জন্য এই নির্দেশ প্রযোজ্য কিনা তা স্পষ্ট ছিল না। বুধবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে আদালত জানায়, এই বিষয়টির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তবে অন্তত ১০ লক্ষ টাকা তো অবশ্যই দিতে হবে। সেই পরিমাণ টাকাও তো এখনও অনেক পরিবার পায়নি। বেঞ্চ স্পষ্ট বলেছে, নির্দেশ না মানলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জনপথ দফতরের সচিবকে আদালতে হাজির হতে হবে।
পাশাপাশি ২০২৩ সালের রায়ে কী কী উল্লেখ করা হয়েছিল, তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আদালত। রায় অনুসারে, ম্যানহোলে নেমে কারও মৃত্যু হলে, ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়া কেউ শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে গেলে ১০ লক্ষ টাকা এবং সারা জীবনের জন্য কোনও অক্ষমতা তৈরি হলে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে কাজ করা বন্ধের জন্য ২০১৩ সালেই আইন আনা হয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল, ম্যানহোল সাফাই, মলমূত্র সাফাই কিংবা বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ মানুষকে দিয়ে করানো যাবে না। আইনত তা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে ম্যানহোলে মানুষ নামানোর প্রয়োজন হয়, তবে তাঁকে জীবন এবং স্বাস্থ্যের সব রকম সুরক্ষা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সরকারকে।
এই নয়া আইন প্রণয়নের পরেও দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে কাজ করার খবর এবং তার জেরে বহু মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। চলতি বছরের শুরুতেই দেশের ছ'টি বড় শহর— কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদে ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে সাফাই পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
