
আসামের কয়লাখনি থেকে উদ্ধার করা হল ১ শ্রমিকের মৃতদেহ। এই শ্রমিকের বাড়ি নেপালে বলে জানা গেছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। অসমর্থিত সূত্রে খবর, খনির মধ্যে এখনও আটকে রয়েছেন ১৪ জন শ্রমিক। তাঁরা জীবিত নাকি মৃত, তা নিশ্চিত নয় এখনও।
সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ আসামের দিমা হাসাও জেলার উমরাংসোরের কয়লা খনিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা যায় হঠাৎ প্রচুর পরিমাণে জল প্রবেশ করতে থাকে খনিতে। অনেকে বাইরে বেরোতে সক্ষম হলেও কয়েক জন শ্রমিক আটকে পড়েন খনিতেই। তারপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়।
সেনাবাহিনী এবং এনডিআরএফ ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চালাচ্ছেন। নৌবাহিনীর কর্মীরাও রয়েছেন ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ডুব দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তাঁরা। এসডিআরএফও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। তারা জল বের করা পাম্প চালিয়েছে। জল আরও দ্রুত বের করার জন্য ওএনজিসির পাম্পও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, মৃত শ্রমিকের নাম গঙ্গা বাহাদূর শ্রেষ্ঠ (৩৮ বছর। নেপালের উদয়পূর জেলার বাসিন্দা তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় ওই খনিতেই কাজ করা এক শ্রমিক জানান, সকলে কাজ করছিলাম। আচমকাই কয়েকজন খনির মধ্যে জল ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বলে চিৎকার শুরু করেন। তাড়াতাড়ি ৩০-৩৫ জন বাইরে বেরিয়ে আসি। কিন্ত ১৫-১৬ জন বেরোতে পারেনি। এখন জানি না কীভাবে তাদের উদ্ধার করা হবে।
আটকে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা ১৫-১৬ জন হলেও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দেওয়া তালিকায় আটকে থাকা শ্রমিকের সংখ্যা ৯ জন দেখানো হয়েছে। যার মধ্যে ৭ জন আসামের বাসিন্দা, ১ জন নেপাল এবং ১ জন পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রয়েছেন। নেপালের শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় থাকা আসামের শ্রমিকরা হলেন, হোসেন আলী (৩০ বছর), জাকির হোসেন (৩৮ বছর), সরপা বর্মন (৪৬ বছর), মোস্তফা শেখ (৪৪ বছর), খুসি মোহন রাই (৫৭ বছর), লিজান মাগার (২৬ বছর) এবং শরৎ গয়রি (৩৭ বছর)। এছাড়া আটকে পড়া শ্রমিকদের তালিকায় আছেন সঞ্জিত সরকার (৩৫ বছর), পশ্চিমবঙ্গ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন