
ছত্তিশগড়ে সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকর খুনে মূল অভিযুক্ত সুরেশ চন্দ্রাকরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ৩০০-র কাছাকাছি মোবাইল ফোন ট্রেস করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খুনের পর থেকেই লুকিয়ে ছিল সুরেশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তার মালিকানাধীন একটি সম্পত্তির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাংবাদিক মুকেশের দেহ। ধৃত সুরেশ চন্দ্রাকর হায়দরাবাদে তার গাড়ির চালকের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। ২০০টি সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রায় ৩০০টি মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে সুরেশের হদিশ পায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, সুরেশই হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের মাথা। এর আগে সুরেশের ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
বর্তমানে হেফাজতে নিয়ে সুরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পাশাপাশি সুরেশের স্ত্রীকেও ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কীসের জন্য সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে চাইছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকার। পরের দিন তাঁর দাদা টিভি সাংবাদিক ইয়ুকেশ চন্দ্রাকর স্থানীয় থানায় ভাইয়ের নিখোঁজ সংবাদ জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের বীজাপুরে পেশায় ঠিকাদার সুরেশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় মুকেশ চন্দ্রকারের মৃতদেহ।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী মুকেশকে ভারী কোনো বস্তু দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে হয়েছিল। মাথায়, পিঠে এবং পেটে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাঁর ঘাড় ভেঙে গিয়েছে। লিভার এবং হার্টও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতের ট্যাটু দেখে তাঁর দেহ শনাক্ত করা হয়।
সাংবাদিক মুকেশের দাদা ইয়ুকেশ চন্দ্রাকরের অভিযোগ, সম্প্রতি গঙ্গালুর থেকে নেলসনার গ্রাম পর্যন্ত এক সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন মুকেশ। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পরেই ওই সড়ক নির্মাণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। যার জেরে মুকেশকে অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রাকর এবং আরও তিন ব্যক্তি হুমকি দেন। এরপরই মুকেশের দেহ উদ্ধার হয়। সুরেশ এবং মুকেশ একে অপরের আত্মীয় ছিলেন। প্রাথমিক অনুমান, দুর্নীতি ফাঁস করে দেওয়ার কারণেই সাংবাদিককে হত্যা করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন