

রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু। দুর্ঘটনার পর চার ঘন্টা দেহ পড়ে থাকল রাস্তায়। নেপথ্যে, দুই রাজ্যের পুলিশের দায় ঠেলাঠেলি। অবশেষে স্থানীয়দের রাস্তা অবরোধের পর দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়না তদন্তে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে।
রাহুল আহিরওয়ার নামক ২৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি দিল্লির বাসিন্দা। রাস্তা পারাপারের সময় এক দ্রুত বেগে আসা গাড়ি ধাক্কা মারে রাহুলকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মেলেনি ঘাতক গাড়ির সন্ধান। দুর্ঘটনার পর দেহ উদ্ধারের জন্য স্থানীয়রা প্রথমে খবর দেন মধ্যপ্রদেশের হরপালপুর থানায়। তবে ওই থানার পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে জানান, এলাকাটি উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার মাহোবকান্ত থানার অধীনে। এক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করনীয় না থাকায় এলাকা ছেড়ে চলে যান তাঁরা।
এরপর স্থানীয়রা খবর দেন উত্তরপ্রদেশের মাহোবকান্ত থানায়। যদিও সেখানকার পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, এলাকাটি মধ্যপ্রদেশ পুলিশের আওতায়। দুই রাজ্যের পুলিশের দায় ঠেলাঠেলিতে দেহ প্রায় চার ঘন্টা পড়ে থাকা রাস্তায়। এরপর দেহ উদ্ধারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে, মধ্যপ্রদেশ পুলিশ রাহুলের দেহ উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
মৃতের পরিবার জানায়, সন্ধ্যা ৭টায় দুর্ঘটনা ঘটলেও রাত ১১টা পর্যন্ত দেহ রাস্তায় পড়ে ছিল। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ‘এলাকাটি মধ্যপ্রদেশ পুলিশের আওতাধীন। তার পরেও মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক আধিকারিক ধমক দিয়ে আমাদের বলেন, এলাকাটি তাঁদের থানার আওতায় নয়’।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন