
ক্ষমতা দখল করেই দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে সরানো হয়েছে আম্বেদকর ও ভগৎ সিং-র ছবি। বিজেপির বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী মারলেনা। যদিও তাঁর সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি।
যদিও বিজেপি আপের সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, আপ দিল্লি বিধানসভায় পেশ করা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) রিপোর্ট থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে। তাই নোংরা রাজনীতি করছে।
দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার কার্যালয় থেকে বি আর আম্বেদকর এবং ভগৎ সিং-র ছবি সরানোর অভিযোগ করেন দিল্লির বিরোধী দলনেত্রী অতিশী মারলেনা। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবি পোস্ট করেন অতিশী। একটিতে দেখা যায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অফিসে কাজ করছেন এবং অন্যটিতে নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা অফিসে কাজ করছেন। অতিশীর ছবির পিছনে ভগৎ সিং এবং আম্বেদকরের ছবি রয়েছে। কিন্তু রেখা গুপ্তার ছবির পিছনে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মহাত্মা গান্ধীজির ছবি রয়েছে। যা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।
অতিশী সাংবাদিককের জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর এবং শহিদ ভগৎ সিংয়ের দু'টি ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা বিজেপির আসল রূপকে সামনে এনেছে। ওরা দলিত-বিরোধী, শিখ-বিরোধী৷ ওরা আম্বেদকর এবং ভগৎ সিংকে অপমান করেছে। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করবই।
এই ছবি সরানো নিয়ে আজ বিধানসভাও উত্তাল হয়। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন আপ বিধায়করা। গণ্ডগোলের জেরে ২০ জন আপ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। অবশ্য বিধানসভা চত্বর ছাড়েননি আপ বিধায়করা। বিধানসভা চত্বরেই ধরনায় বসে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের সাফ দাবি, যতক্ষণ না আম্বেদকরের ছবি যথাস্থানে বসানো হচ্ছে ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে।
এই ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, লক্ষ লক্ষ আম্বেদকর অনুগামীদের অপমান করা হয়েছে। নতুন বিজেপি সরকার বাবাসাহেবের ছবি সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি প্রতিস্থাপন করেছে। এটি ঠিক নয়। বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাক, কিন্তু বাবাসাহেবের ছবি না সরিয়ে।
যদিও বিজেপি আপের সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের ছবি দিয়ে বিজেপি লিখেছে, গান্ধীজি, বাবা সাহেব আম্বেদকর, ভগৎ সিং, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলের ছবি রয়েছে। ছবি সরানো হয়নি। তবে জায়গা পাল্টেছে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে আপ বিভিন্ন ইস্যুগুলিকে ঘোরাতে চাইছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন