
দলে যদি আমার প্রয়োজন না থাকে, আমার কাছে বিকল্প পথ রয়েছে। শশী থারুরের এই মন্তব্যে কংগ্রেসের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে কি কংগ্রেস ছাড়ছেন সাংসদ শশী থারুর? কিছু দিন আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেরালার বাম সরকারের প্রশংসা করেছিলেন তিনি। এরপর এই মন্তব্য তাঁর দল ছাড়ার জল্পনা উসকে দিয়েছে।
একাধিকবার কেরালা কংগ্রেস নেতৃত্বের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। শুধু তাই নয় কেরালার এলডিএফ সরকারেরও প্রশংসা করেছিলেন। শনিবার, তিনি থমাস গ্রে-এর একটি কবিতা শেয়ার করে লিখেছেন, "যেখানে অজ্ঞতাই আনন্দ, সেখানে জ্ঞানী হওয়া বোকামি।" হঠাৎ কেন এই ধরণের পোস্ট করেছেন তার ব্যাখা অবশ্য তিনি দেননি। আর রবিবার সাংবাদিকদের এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ উপভোগ করুন।
তবে আইই মালয়ালাম পডকাস্টে কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা খারিজ করেন শশী থারুর। তিনি বলেন, দলের মধ্যে মত পার্থক্য আছে ঠিকই। তবে দল ছাড়ার কথা ভাবি না।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধীর সাথে দিল্লিতে বৈঠক করেন থারুর। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে আলোচনা করেন দুই নেতা। বৈঠক ভালো হয়েছে বলেই জানান তিনি। বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি।
এই বিষয়ে কেরালা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিশেষ কিছু বলা হয়নি। তবে কেরালা প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা রমেশ চেন্নিথালা বলেন, আমি যেটা বুঝতে পারছি তাতে রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করার আগে তিনি এই সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন। এ বিষয় নিয়ে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই না আমরা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেরালার বাম সরকারের প্রশংসা করেছিলেন শশী থারুর। একটি ইংরাজী দৈনিকের নিবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, ২০২১-র ১ জুলাই থেকে ২০২৩-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেরালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ব্যাকপভাবে হয়েছে। কেরালা বদলাচ্ছে। ২০২৪-র গ্লোবাল স্টার্ট আপের উপযোগী পরিবেশ হিসেবে কেরালা নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন