
৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৮ শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম! এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণ রাও।
শনিবার থেকে শ্রীশৈলম বাঁধের কাছে ধসে পড়া সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৮ জন শ্রমিক। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী তথা কংগ্রেস বিধায়ক জুপাল্লি কৃষ্ণ রাও জানান, "৮ জনের মধ্যে ৪ জন শ্রমিক এবং ৪ জন নির্মাণ সংস্থার কর্মী রয়েছেন। সকলের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। প্রচুর পরিমাণে জল ও কাদা থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সুড়ঙ্গের ভেতরে অনেক উঁচুতে কাদা জমে আছে যার ফলে হাঁটা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তবে আমরা এখনও আশা ছাড়ছি না"।
সেনাবাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং রাজ্যের একাধিক সংস্থা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তবে কারুর সাথেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা টানেল অভিযানে অংশ নেওয়া বীরত্বপূর্ণ দলের ছয় সদস্যও এই উদ্ধার প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছেন।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ফোনে মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির কাছে গোটা পরিস্থিতির কথা জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রেবন্ত রেড্ডিকে ফোন করে উদ্ধারকাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী রবিবারই জানান, তিনি সারাক্ষণ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রতিমুহূর্তের আপডেট নিচ্ছেন। দ্রুত সুড়ঙ্গ থেকে জল বের করা ও অক্সিজেন সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনিবার সকালে ধস নামে তেলেনাঙ্গার নাগারকুর্নুল জেলার শ্রীশৈলম বাঁধের কাছে নির্মীয়মাণ একটি সুড়ঙ্গে। প্রশাসন জানায়, সুড়ঙ্গের ১৪ কিলোমিটার পয়েন্টের বামদিকের ছাদটি ৩ মিটার পর্যন্ত ধসে পড়ে। অনেকে পালিয়ে গেলেও ৮ শ্রমিক আটকে পড়েন।
এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডিকে দায়ী করেছেন বিআরএস-র কার্যকরী সভাপতি কে টি রামা রাও। তাঁর অভিযোগ সরকারের গাফিলতির জন্যই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য নির্দেশ দেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন