

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এবার চলছে দল থেকে বহিষ্কারের পালা। গত দু’দিন এনডিএ শরিক জেডিইউ, হ্যাম থেকে বর্তমান বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কারের পর এবার বহিষ্কারের হাঁটলো এনডিএ-র প্রধান শরিক বিজেপি। বিহারের বিজেপি ইউনিট এক বর্তমান বিধায়ক সহ ৬ জনকে বহিষ্কার করলো। এঁদের সকলের বিরুদ্ধেই ‘দলবিরোধী কার্যকলাপ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বিহার বিজেপির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কাহালগাঁও-এর বিধায়ক পবন যাদব ও অন্যান্যদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দল এই সদস্যদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেখা গেছে এই ছয় সদস্য দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এঁরা দলবিরোধী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। বর্তমান বিধায়ক পবন যাদব, যাঁকে এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, তিনি কাহালগাঁও কেন্দ্রে এনডিএ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কাহালগাঁও-এর বিধায়ক পবন যাদব ছাড়া বাকি বহিষ্কৃতরা হলেন, সানি যাদব, শ্রবণ কুশওয়াহা, উত্তম চৌধুরী, মারুতি নন্দন মারুতি এবং পবন চৌধুরী।
এই বহিষ্কার প্রসঙ্গে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, দলীয় এই নেতারা দলের ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছিলেন। যা আমাদের দলের আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার এবং রবিবার নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড থেকে বহিষ্কার করা হয় ১৬ জনকে। এঁদের মধ্যে একজন বর্তমান বিধায়ক, দুই প্রাক্তন মন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব আছেন। এঁদের সকলকেই দলবিরোধী কাজের জন্য শনিবার ও রবিবার বহিষ্কার করা হয়েছে। জানা গেছে, এঁরা সকলেই দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে জিতন রাম মাঝি তাঁর হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা বা হ্যাম থেকে ১১ জন নেতৃত্বকে বহিষ্কার করেছেন। এঁদের মধ্যে আছেন দলের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজেশ রঞ্জন, জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রিতেশ কুমার ও শ্রবণ ভুঁইয়া। এছাড়াও এই তালিকায় আছেন, দলের মুখপাত্র নন্দলাল মাঝি, চন্দন ঠাকুর, শৈলেশ মিশ্র, শিবকুমার রাম, রাজেন্দ্র যাদব, বৈজু যাদব, মঞ্জু সরদার, বি কে সিং।
আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর বিহারে ২ দফায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৪ নভেম্বর। ২৪৩ বিধানসভা বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ আসন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন