

ভোটের মুখে নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড থেকে বহিষ্কার করা হল ১৬ জনকে। এঁদের মধ্যে একজন বর্তমান বিধায়ক, দুই প্রাক্তন মন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব আছেন। এঁদের সকলকেই দলবিরোধী কাজের জন্য শনিবার ও রবিবার বহিষ্কার করা হয়েছে। জানা গেছে, এঁরা সকলেই দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দুটি আলাদা আলাদা বিবৃতিতে জেডিইউ নেতৃত্বদের বহিষ্কার করা হয়েছে। যে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বহিষ্কৃতরা দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁরা জেডিইউ মতাদর্শ লঙ্ঘন করেছেন।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে আছেন ভাগলপুর জেলার গোপালপুরের বিধায়ক নরেন্দ্র নীরজ ওরফে গোপাল মণ্ডল। সম্প্রতি তিনি মনোনয়ন না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বাড়ির সামনে ধর্না দিয়েছিলেন। যদিও ওই কেন্দ্রে এবার জেডিইউ মনোনয়ন দিয়েছে বুলো মণ্ডলকে। এরপরেই চার বারের বিধায়ক গোপাল মণ্ডল নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন।
গোপাল মণ্ডল ছাড়াও অন্যান্য যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন, সঞ্জীব শ্যাম সিং। যিনি জেডিইউ-র প্রাক্তন এমএলসি এবং এবার প্রশান্ত কিশোরের জন সূরজ পার্টির প্রার্থী হিসেবে গয়া জেলার গুরুয়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়াও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হিমরাজ সিং নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কাটিহার কেন্দ্র থেকে। তাঁকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত হয়েছেন গাইঘাট কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক মহেশ্বর প্রসাদ যাদব। যিনি ২০২০ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি জেডিইউ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। এরপরেই তাঁকে ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সমর্থক প্রভাত কিরণকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল জেডিইউ বহিষ্কার করেছিল ১১ জনকে। যাদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শৈলেশ কুমার। যিনি মুঙ্গের জেলার জামালপুর কেন্দ্রে ২০২০ সালে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এবার তিনি ওই কেন্দ্র থেকেই জেডিইউ-র ঘোষিত প্রার্থী নচিকেতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এছাড়াও প্রাক্তন বিধায়ক শ্যাম বাহাদুর সিং, সুদর্শন কুমার, প্রাক্তন এমএলসি সঞ্জয় প্রসাদ এবং রণবিজয় সিংকেও বহিষ্কার করেছে জেডিইউ। বহিষ্কৃত হয়েছেন, অমর কুমার সিং, ডঃ আসমা পরভীন, লব কুমার, আশা সুমন, দিব্যাংশু ভরদ্বাজ এবং বিবেক শুক্লা।
জেডিইউ ছাড়াও জিতন রাম মাঝি তাঁর হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা বা হ্যাম থেকে ১১ জন নেতৃত্বকে বহিষ্কার করেছেন। এঁদের মধ্যে আছেন দলের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজেশ রঞ্জন, জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রিতেশ কুমার ও শ্রবণ ভুঁইয়া। এছাড়াও এই তালিকায় আছেন, দলের মুখপাত্র নন্দলাল মাঝি, চন্দন ঠাকুর, শৈলেশ মিশ্র, শিবকুমার রাম, রাজেন্দ্র যাদব, বৈজু যাদব, মঞ্জু সরদার, বি কে সিং।
২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর দু’দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ফলাফল ঘোষিত হবে ১৪ নভেম্বর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন