
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই আয়কর দফতর দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা ১০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ফিরে ফেলেন অজিত পাওয়ার। ২০২১ সালে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল আয়কর দপ্তর। এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
গত ৫ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তাঁর সাথেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার এবং শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ধে। আর শপথ নেওয়ার পরই স্বস্তি পেলেন অজিত পাওয়ার। আয়কর দপ্তরের হাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া হাজার কোটির সম্পত্তি ফিরে পেলেন তিনি।
অজিত পাওয়ার এবং তাঁর বোনের বেনামি সম্পত্তি নিয়ে মামলাটি Prevention of Benami Property Transactions Appellate Tribunal খারিজ করেছে। ফলে আপাতত দুর্নীতির আর কোনও অভিযোগই থাকল না অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে।
অজিত পাওয়ারের সম্পত্তি ফিরে পাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির। তাদের বক্তব্য, বিজেপির সাথে জোট করার আগে পর্যন্ত অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। কিন্তু শরদ পাওয়ারের থেকে আলাদা হয়ে, অনুগামী কয়েকজন বিধায়ক নিয়ে নতুন এনসিপি শিবির গড়ে তা নিয়ে বিজেপির সাথে হাত মেলানোর পরই তিনি দুর্নীতিমুক্ত হয়ে গেলেন কীভাবে?
শিবসেনা (উদ্ধব) শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, "এতদিন কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এখন সবকিছু বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে পরিষ্কার হয়ে গেছেন! ভ্রষ্টাচারী মালামাল, এই হল মোদির অমৃতকাল"।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ১০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দপ্তর। অভিযোগ মহারাষ্ট্রের তৎকালীন উপ-মুখ্যমন্ত্রী (উদ্ধব ঠাকরের সরকারে) অজিত পাওয়ার এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে জড়িত এই সম্পত্তি। অজিত পাওয়ার ও তাঁর পরিবার এই বেনামী সম্পত্তির সুবিধাভোগী বলে আয়কর বিভাগ দাবি করেছিল।
সেই সময় অজিত পাওয়ার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন – “আমার সঙ্গে জড়িত সমস্ত সম্পত্তির নিয়মিত সঠিক কর দেওয়া হয় যেহেতু আমি অর্থমন্ত্রী, আমি ট্যাক্স সম্পর্কে সচেতন। আমার সাথে যুক্ত সমস্ত সংস্থা ট্যাক্স দিয়েছে”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন