

সুপ্রিম কোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে ইডি। প্রাক্তন আইএস অফিসার অনিল টুটেজাকে গ্রেফতারির সময় সঠিক পদ্ধতি গ্রহণ করেনি ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার কাজ নিয়ে এমনই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চ জানায়, "২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রায়পুরে দুর্নীতি-দমন শাখার দফতরে বসেছিলেন টুটেজা। ইডি তাঁকে একটি সমন পাঠায়। পরে ফের একটি সমন পাঠিয়ে তাঁকে সাড়ে ৫টার সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। ইডি দফতরে তাঁকে সারা রাত জেরার পরে নথিতে দেখানো হয় তাঁকে ভোর ৪টের সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত অস্বস্তিকর বিষয় একটি"।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও টুটেজার গ্রেফতারি নিয়ে ইডির সমালোচনা করেছিল শীর্ষ আদালত। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকারের আমলে আবগারি দুর্নীতিতে নাম জড়ায় প্রাক্তন আমলা অনিল টুটেজার। অভিযোগ ওঠে ২০১৯-২০২২ সাল পর্যন্ত ২১০০ কোটি টাকার আবগারি দুর্নীতি হয়েছে। প্রাক্তন আমলাকে গত এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করে ইডি।
গত ২০ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন শাখার দফতরে হাজিরা দেন অনিল টুটেজা। সেখানেই ইডির আধিকারিকরা তাঁকে সমন দেন। যার মেয়াদ ছিল বেলা ১২টা পর্যন্ত। কিন্তু অনিল টুটেজা হাজিরা দিতে রাজি হননি। পরে ওই দিনই ফের একটা সমন পাঠিয়ে হাজিরার জন্য বলা হয় তাঁকে। বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়। দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরাই অনিলকে নিয়ে ইডি দফতরে যান। সেখানে ইডির আধিকারিকরা সারা রাত জেরা করেন। ভোর বেলা গ্রেফতার করা হয় ওই আমলাকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন