
আরএসএস নেতার সুরেই সুর মিলিয়ে সংবিধানে উল্লেখ থাকা 'সমাজতান্ত্রিক' এবং 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দ দুটির যৌক্তিকতা নিয়ে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁর মতে শব্দ দুটির কোনও প্রয়োজন নেই।
শুক্রবার বারাণসীতে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সংস্কৃতির মূল নয়। জরুরি অবস্থার সময় এই শব্দগুলি প্রস্তাবনায় যুক্ত করা হয়েছিল এবং বর্তমানে তাদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে জাতীয় স্তরে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।
চৌহান বলেন, “ভারত একটি প্রাচীন এবং মহান জাতি যা সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা নীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত। এটি হাজার হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য। আমাদের সভ্যতা বহু ধর্ম ও চিন্তাধারার সহাবস্থানে বিশ্বাস করে।”
এর আগে দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনায় সংবিধান থেকে দুটি শব্দ বাদ দেওয়ার দাবি জানান দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেছিলেন, 'জরুরী অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সেই সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি এখনও রেখে দেওয়া উচিত? বাবাসাহেব আম্বেদকর যে সংবিধানের প্রস্তাবনা তৈরি করেছিলেন তাতে কখনও এই শব্দগুলি ছিল না।'
আর এস এস নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদে রাহুল গান্ধী জানান, "আরএসএসের মুখোশ আবার খুলে গেছে। সংবিধান তাদের অপমান করে কারণ এটি সাম্য, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ন্যায়বিচারের কথা বলে। আরএসএস-বিজেপি সংবিধান চায় না, তারা মনুস্মৃতি চায়। তারা বহুজন এবং দরিদ্রদের তাদের অধিকার কেড়ে নিয়ে আবার দাস বানাতে চায়। তাদের আসল এজেন্ডা হল তাদের কাছ থেকে সংবিধানের মতো একটি শক্তিশালী অস্ত্র কেড়ে নেওয়া। আরএসএসের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা উচিত - আমরা তাদের কখনই সফল হতে দেব না। প্রতিটি দেশপ্রেমিক ভারতীয় তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সংবিধান রক্ষা করবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন